• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৪:১৭    ঢাকা সময়: ১৪:১৭

জিতলেই সিরিজে বাংলাদেশের

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন :  ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও এবার আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারতে চাইছেনা বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। ১২ মার্চ দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের কোন বিকল্প নেই ইংলিশদের সামনে, অন্ততপক্ষে সিরিজে ফিরতে হলে। বলা যায় পয়া ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর স্টেডিয়াম থেকে ওয়ডানডের পর টি-টোয়েন্টি জয়ের আত্ববিশ্বাস নিয়ে ঢাকায় ফিরেছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল। 
 
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারে বাংলাদেশ, ওয়ানডে সিরিজ শেষেও এই কথা বললে কি কারও বিশ্বাস হতো? উত্তরটা আসত সম্ভবত না। একটি জয় যেন পুরো আলোচনাই বদলে দিয়েছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের কথাও ভাবছে বাংলাদেশ। শক্তি-সামর্থ্যে ইংল্যান্ড কতটা শক্তিশালী, সিরিজে ফিরে আসার সামর্থ্য তাদের কতটা আছে, তা নতুন করে আর না বললেও চলছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচে জেতার পর বাংলাদেশরই বা এই সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু? 
 
সেখানে অতীত পরিসংখ্যানই বা কী বলছে? বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে ২০০৬ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে দুই কিংবা ততোধিক ম্যাচের সিরিজ খেলতে টাইগারদের অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও প্রায় ৬ বছর। ২০১২ সালে প্রথমবার দুই কিংবা ততোধিক ম্যাচের সিরিজ খেলে বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংল্যান্ড সিরিজের আগপর্যন্ত বাংলাদেশ দুই বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচের সিরিজ খেলেছে ২৬টি। সেখানে সিরিজে প্রথম ম্যাচে জয় এসেছে এমন সিরিজের সংখ্যা ১০টি। এই ১০টিতে সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে তাকানো যাক। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালের সেই সিরিজে প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ফিফটি আর ইলিয়াস সানির ৫ উইকেটে ৭১ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এরপর সিরিজে দুই ম্যাচে আইরিশরা লড়াই করলেও জিতেছিল বাংলাদেশই। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ১ রানে আর তৃতীয় ম্যাচে জয় ইনিংসের শেষ বলে ২ উইকেট হাতে রেখে। 
 
এরপর বাংলাদেশ ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবালের ৬৯ রানের ইনিংসে ৮ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১ উইকেটে হারায় নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হওয়ার পর প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েও টানা দুটি সিরিজ ড্র করে বাংলাদেশ। এই দুই সিরিজই বাংলাদেশ খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে হওয়া দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ ব্যবধানে ড্র করার পর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে হওয়া ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও শেষ হয় ২-২ সমতায়। ৪ ম্যাচের এই সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। লাল সবুজ দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে স্বাগতিকদের হারায় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে ব্যাটিং ধসের জন্য সিরিজ খোঁয়ায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এরপর ২০২১ সালে জিম্বাবুয়েতে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ হারে ২৩ রানে। 
তাতে অবশ্য ভারত সিরিজের পুনরাবৃত্তি জিম্বাবুয়ে সিরিজে আর হয়নি। সেই সিরিজের সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশ জেতে ৫ উইকেটে। একই বছর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে আতিথ্য দেয় বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ও নিউজিল্যান্ডকে ৩-২ ব্যবধানে হারায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই সিরিজ জেতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। আর কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪ ম্যাচ। এরপর মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের পরীক্ষা দিয়েছে বাংলাদেশ। এই সিরিজে প্রথম ম্যাচে পাওয়া জয়কে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় টাইগাররা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬১ রানে জেতার পর দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে ৮ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের আগে আরব-আমিরাতের সঙ্গে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। আইসিসির সহযোগী এ দেশটিকে ২-০ ব্যবধানে হারাতে বেশি বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশকে। সব মিলিয়ে এই ১০টি সিরিজের মধ্যে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৫টিতে। হেরেছে ১টি। বাকি ৪ সিরিজের ফলাফল ড্র। ড্র হওয়া সিরিজগুলোর মধ্যে ৩টি সিরিজ ছিল ২ ম্যাচের আর একটি ৪ ম্যাচে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ ৩ ম্যাচের। 
 
এবার প্রথম ম্যাচে জিতে এগিয়ে যাওয়া সিরিজগুলোর পরিসংখ্যান বাংলাদেশের পক্ষে গেলেও এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নির্ভার হওয়ার সুযোগ নেই। আর ক্রিকেটে পরিসংখ্যানের প্রভাব তো ম্যাচে প্রথম বল গড়ানোর আগ পর্যন্ত! এদিকে প্রথম ম্যাচ খেলে ঢাকায় ফিরে খুব বেশি অনুশীলন করেনি দু’দল। হারলেও বেশি নির্ভার থেকেছে সফরকারীরা। ব্যাটাররা ১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে দল জিতিয়েছেন, সবাই কমবেশি অবদান রেখেছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দিয়েছেন। ৮ বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার আর অভিষেক হওয়া তৌহিদ হৃদয়ও স্বচ্ছন্দ্য ও সাবলীল ব্যাটিং করেছেন। ব্যাট হাতে শেষটা করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। ব্যাটারদের এই গোছানো পারফরম্যান্সে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের বোলিংটা খানিক ঢাকা পড়েছে। কিন্তু হাসান ডেথ ওভারে চমৎকার দুটি ওভার না করলে (দুই ওভারে ১ আর ৪ রান) আর জস বাটলার ও সাম কারানকে আউট করতে না পারলে ইংলিশদের সংপ্রহটা বড় হতো নিঃসন্দেহে। এ তরুণ এমনিতেই একটু চুপচপ থাকেন। মিডিয়ায় আসেন কম। 
তাই তার কথা ভক্ত ও সমর্থকদের শোনার সুযোগও হয় কম। শেষ ওয়ানডেতে ৫০ রানের স্বস্তির ও কৃতিত্বপূর্ণ জয়ের পর বৃহস্পতিবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও দারুণ জয় পেয়েছে টিম বাংলাদেশ। ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করে টিম বাংলাদেশ। এদিকে মিরপুরে ২০০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশের ম্যাচ। এছাড়া গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড- ১৫০০ টাকা, ভিআইপি স্ট্যান্ড- ১০০০ টাকা, ক্লাব হাউজ- ৫০০ টাকা, নর্থ/সাউথ স্ট্যান্ড- ৩০০ টাকা, ইস্টার্ন স্ট্যান্ড- ২০০ টাকা রাখা হয়েছে। মিরপুর স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বেলা তিনটায়।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।