ইংল্যান্ড : ১১৯/১০; ২০ ওভার
বাংলাদেশ : ১২০/৬; ১৮.৫ ওভার
ফল : বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী
আরিফ সোহেল
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কখনও দ্বিপাক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেনি বাংলাদেশ, প্রথমবার দেখা। আর সেই দেখাতেই হয়ে গেলো ইতিহাস। তাতেই বাজিমাত।
মিরপুরে ১২ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রোমাঞ্চকর এক লড়াই হলো। যে লড়াইয়ে ইংলিশদের ৪ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে হারালো বাংলার দামাল ছেলেরা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিলো সিরিজ। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মাটিতে নামিয়ে ইতিহাস গড়লো সাকিব আল হাসানের দল।
বাংলাদেশের কাছে সাদা বলের ক্রিকেটে টানা ৩টি ম্যাচ হারল ইংল্যান্ড। এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি— দু’ধরনের ক্রিকেটেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বাংলাদেশের মাটিতে চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছে না। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান শাকিব। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের সামনে একরকম ধস নামল সফরকারীদের ইনিংসে। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ রান বেন ডাকেটের ২৮ বলে ২৮। ২টি চার মারেন তিনি। ওপেনার ফিল সল্টের ব্যাট থেকে এল ১৯ বলে ২৫ রানের ইনিংস। ৩টি চার এবং ১টি ছয় মারেন ডাকেন। প্রথম থেকেই ধারাবাহিক ব্যবধানে উইকেট হারান বাটলাররা। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দলের ইনিংসের হাল ধরা অধিনায়ক বাটলারও (৪) এই ম্যাচে ব্যর্থ হলেন। দু’অঙ্কের রান করলেন ইংল্যান্ডের মাত্র পাঁচ জন ব্যাটার। মঈন আলি (১৫), স্যাম কারেন (১২) এবং রেহান আহমেদ (১১) রান ছাড়া কেউই উইকেটে দাঁড়াতেই পারলেন না।
বাংলাদেশের সফলতম বোলার মেহদি হাসান মিরাজ। তিনি ৪ উইকেট নিলেন ১২ রান খরচ করে। অধিনায়ক সাকিবের ১৩ রানে ১ উইকেট। হাসান ১০ দিয়ে ১ উইকেট পেলেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমানও।
জয়ের লক্ষ্য হিসাবে ১১৮ রান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় নয়। তবু বাংলাদেশকে জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হল ১৯তম ওভারের পঞ্চম বল পর্যন্ত। ব্যর্থ হলেন দুই ওপেনার লিটন দাস (৯) এবং রনি তালুকদার (৯)। তবে তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত উইকেটের এক দিক ধরে রেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত। মূলত তাঁর ব্যাটিংয়ের কাছেই হারল ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৭ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৩টি শতরান। তাঁকে কিছুটা সাহায্য করলেন তৌহিদ হৃদয় এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। তৌহিদ ২টি চারের সাহায্যে করলেন ১৮ বলে ১৭ রান। মিরাজের ব্যাট থেকে এল ১৬ বলে ২০ রানের ইনিংস। ২টি ছক্কা মারেন তিনি। রান পেলেন না সাকিব (শূন্য)। নাজমুলের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ২২ গজে ছিলেন তাসকিন (অপরাজিত ৮)।
ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার জোফ্রা আর্চার ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। ১টি করে উইকেট পেলেন কারেন, মঈন এবং রেহান। বাংলাদেশ রবিবার ৪ উইকেটে জেতায় এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ় হেরে গেল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড : ১১৯/১০; ২০ ওভার [ফিল ২৫; মঈন ১৫, বেন ২৮, কারান ১২; মিরাজ ৪/১২, হাসান ১/১০, সাকিব ১/১৩, মুস্তাফিজুর ১/১৯, তাসকিন ১/২৭]
বাংলাদেশ : ১২০/৬; ১৮.৫ ওভার [নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৬*, মিরাজ ২০, তৌহিদ ১৭; কারান ৪/১৮]
ফল : বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা : মেহেদি হাসান মিরাজ
সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে
দেশকণ্ঠ/আসো