দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে মেক্সিকো নিরাপদ দেশ হিসেবে দাবি করেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ মার্চ) তিনি এই দাবি করেন। চলতি মাসে মেক্সিকো সীমান্তের কাছে মারাত্মক এক অপহরণের ঘটনায় দুই আমেরিকানের প্রাণহানি এবং এর জেরে সৃষ্ট সমালোচনার জবাবে মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট এদিন একথা বলেন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকান শহর মাতামোরোসে গত ৩ মার্চ চার আমেরিকান নাগরিকের ওপর হামলা এবং সেখান থেকে তাদের অপহরণের ঘটনা মার্কিন মিডিয়া ফলাওভাবে কভার করে। এছাড়া এই ঘটনাটি মার্কিন রাজনীতিবিদদের, বিশেষ করে রিপাবলিকান পার্টির রাজনীতিকদের কাছ থেকে নিন্দার জন্ম দিয়েছে।
পরে মেক্সিকান কর্তৃপক্ষ অপহৃত আমেরিকানদের খুঁজে বের করতে বড় অভিযান শুরু করে এবং একপর্যায়ে অপহৃতদের মধ্যে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পাঁচজন কথিত মেক্সিকান ড্রাগ কার্টেল সদস্যকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রয়টার্স বলছে, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর মার্কিন সরকারি নিরাপত্তা সতর্কতা প্রত্যাখ্যান করেছেন। মার্কিন ওই সতর্কতায় ভ্রমণের জন্য প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোকে একটি ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন এই নিরাপত্তা সতর্কতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মেক্সিকান এই প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে মেক্সিকো নিরাপদ দেশ। মেক্সিকোতে নিরাপদে ভ্রমণে কোনও সমস্যা নেই।’
লোপেজ ওব্রাডর বলেন, মার্কিন পর্যটক এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মেক্সিকানরা জানেন এই দেশটি কতটা নিরাপদ। এসময় তিনি মেক্সিকোতে বসবাসকারী আমেরিকানদের সংখ্যার সাম্প্রতিক বৃদ্ধির দিকেও ইঙ্গিত করেন। এছাড়া গত বছর মেক্সিকোতে যাওয়া মার্কিন পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তিনি নিরাপত্তা সতর্কতা সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিবেদনের জন্য রক্ষণশীল মার্কিন রাজনীতিবিদদের চালানো ‘মেক্সিকো-বিরোধী’ প্রচারণাকে দায়ী করেছেন। অবশ্য মেক্সিকোতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডরের মন্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানানোর অনুরোধে সাড়া দেয়নি। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে মেক্সিকোতে হত্যার হার ছিল প্রতি এক লাখ জনে ২৮ জন। যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চারগুণ বেশি। যদিও মেক্সিকোতে গত বছর হত্যাকাণ্ডের হার প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে।
দেশকন্ঠ/অআ