• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৭:৩৬    ঢাকা সময়: ১৭:৩৬
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

নির্বাচন পণ্ড করতেই বিএনপি আদালতে হামলা চালিয়েছে

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদক : সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন পণ্ড করতেই বিএনপি আদালতে হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে এক নেতা ব্যালট চুরি করতে গেছেন। ব্যালট চুরি করে নির্বাচনে জিতবে, এ জন্য সকালে আদালতে হামলা করেছে। ভোট গ্রহন পণ্ড করতে বার বার আদালতে হামলা করছেন। ফখরুল সাহেব, আপনারা ধরা পড়ে গেছেন।’
 
ওবায়দুল কাদের ১৫ মার্চ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এই যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার কারা করেছিল? ভোট চুরির অপবাদ আওয়ামী লীগকে দেবেন না। ভোট চুরির মহারাজা বিএনপি।
 
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন খুব দূরের বিষয় নয়। চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। নির্বাচন আমাদের মূল বিষয়। নির্বাচন ঠেকাতে অনেকে কার্যক্রমে আছে। বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনে খারাপ কিছু ঘটলে আওয়ামী লীগ দায়ী থাকবে। তার মানে বিএনপি খারাপ কিছু করতে চায়। তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। হেরে যাওয়ার ভয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। তিনি বলেন, নির্বাচনে খারাপ কিছু ঘটানোর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এটা ২০১৩-১৪ সাল নয়, জনগণ ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। আজকে বাংলাদেশে এমন কোনো ঐক্যবদ্ধ দল নেই, নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারাতে পারে।
 
নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন আতঙ্ক থেকে বিএনপি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম এখন বলেন, আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না। তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। অথচ ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিই আসন পেয়েছিল মাত্র ২৯টি।
 
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম,সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, অর্থ ও পরিকল্পনা  বিষয়ক সম্পাদক ওয়াশিকা আয়শা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম মান্নান কচি, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।