দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তবে উদ্বোধনী মঞ্চে না উঠেই ১০ মিনিটের মধ্যে চলে যান তিনি। এ ঘটনায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন অপেক্ষায় থাকা হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি। বুধবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি রেঞ্জ রোভার গাড়িতে (এফ-৫৫৫৯০) করে দুবাইয়ের দেরা বাজারে আসেন দেশসেরা আলরাউন্ডার। তার সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আরাভ খান। এর আগে, অনুষ্ঠানস্থলে যান উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস, সঙ্গীত শিল্পী বেলাল খানসহ প্রমুখ। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধনী আয়োজন শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রধান ক্রেতাদের সাকিবের সই করা জার্সি ও ব্যাট উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন আরাভ খান। জানা গেছে, পুলিশের পরিদর্শক পদমর্যাদার এক সদস্য হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাভ খান। তিনি বর্তমানে দুবাইয়ে স্বর্ণের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সেই আরাভ খানের সোনার দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই দুবাই গেছেন সাকিব। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে (৩৪) পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। সেই হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি আরাভ খান। মামুন হত্যার ঘটনায় তার ভাই ডিএমপির বনানী থানায় ২০১৮ সালের ১০ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ২০১৯ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সেখানে আরাভের নাম আছে। মামলার এজাহার অনুযায়ী আরাভের আসল নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়।
হত্যা মামলার সাজা থেকে বাঁচতে আবু ইউসুফ লিমন নামে এক তরুণকে বিকেএসপিতে খেলার সুযোগের প্রলোভন দেখান আরাভ। এই প্রলোভনে পড়ে লিমন আদালতে আরাভের বদলে আত্মসমর্পণ করে। পরে আদালত লিমনকে কারাগারে পাঠায়। এই ফাঁকে আরাভ ঊর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তার সহায়তায় নকল পাসপোর্ট বানিয়ে দেশ ত্যাগ করে দুবাই চলে যায়। পরে এ বিষয়টি জানাজানি হলে লিমনকে আদালত খালাস দেন। দুবাইয়ের আরাভ খানই পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যার ৬ নম্বর পলাতক আসামি বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ নিশ্চিত করেছে। ডিবি জানায়, পুলিশের জমা দেওয়া অভিযোগপত্রেও তাকে পলাতক আসামি দেখানো হয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ