দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন (বামে) নিজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম-এর সাথে নিয়ামি’র প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তাদের বৈঠকের সময় করমর্দন করছেন; নিজার ১৬ মার্চ ২০২৩। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন (বামে) নিজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম-এর সাথে নিয়ামি’র প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তাদের বৈঠকের সময় করমর্দন করছেন; নিজার ১৬ মার্চ ২০২৩।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বৃহস্পতিবার আফ্রিকার দেশ নিজারে মানবিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। ব্লিংকেনের এই সফর হলো, আফ্রিকার দেশ নিজারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথম সফর। নিজার সফরের আগে ব্লিংকেন ইথিওপিয়া সফর করেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার এই সফরের লক্ষ্য হচ্ছে সে অঞ্চলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জোরদার করা। আর তিনি বিশ্বের এমন একটি অংশে সফর করছেন, যেখানে রাশিয়া এবং চীন তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
নিজারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন, সাহেল নামে পরিচিত আফ্রিকার পশ্চিম এবং মধ্য অঞ্চলের জন্য ১৫ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা-প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে; নিজার, বুরকিনা ফাসো, চাদ, মালি এবং মৌরিতানিয়া। ইউক্রেনের জন্য পোল্যান্ডের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেনকে মন্তব্য করতে বলা হলে, এটি ইউক্রেন-সংঘাতের আলোচনার অংশ হয়ে ওঠে। উল্লেখ্যে যে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা উদ্যোগে সহায়তার লক্ষ্যে পোল্যান্ড মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ব্লিংকেন বলেন, এটি পোল্যান্ডের একটি সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। আর, ইউক্রেনকে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষায় সহায়তা করার জন্য “বিভিন্ন জাতি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
আফ্রিকার এই অঞ্চলে সন্ত্রাসী এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীর হামলা দমন করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর, সেখানকার অনেক দেশ নিরাপত্তা সহায়তার জন্য রাশিয়া এবং ওয়াগনার গ্রুপের দিকে ঝুঁকেছে। রাশিয়া এবং ওয়াগনার গ্রুপকে প্রত্যাখ্যান করা এবং সমালোচনা করার জন্য ব্লিংকেন প্রথমেই নিজারের উচ্চ প্রশংসা করেন । তিনি বলেন, যেসব অঞ্চলে ওয়াগনার গ্রুপ সক্রিয় ছিলো, সে সব অঞ্চলের পরিণতি খারাপ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি নিরাপত্তাহীনতার মোকাবেলায় কোনো কার্যকর পদক্ষেপ ছিলো না।
দেশকণ্ঠ/আসো