• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৭:১৮    ঢাকা সময়: ০৩:১৮

যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ব্যাংক দেউলিয়া : দেশে দেশে শেয়ারের দরপতন

দেশকণ্ঠ ডেস্ক : সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) ও সিগনেচার ব্যাংকের মতো যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া ঘোষণা করায় বিশ্বজুড়ে রীতিমতো তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং খাতে বড় আঘাত লেগেছে। নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন সরকার। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিনিদের মধ্যে।  ৭২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ব্যাংক দুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মাত্র এক দিনে ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি দরপতন হয়েছে দেশটির ব্যাংকগুলোতে। মাত্র এক দিনেই ওয়াল স্ট্রিটে আঞ্চলিক ব্যাংকগুলোতে দরপতন হয়েছে শতকরা ৬০ ভাগ। এমন আতঙ্ক পেয়ে বসায় অর্থ নিয়ন্ত্রকদের হস্তক্ষেপে লেনদেনের গতি কমপক্ষে ২০টি আঞ্চলিক ব্যাংকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ ছিল। একই শঙ্কায় রয়েছে দেশটির আরও কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এর জেরে বিশ্বের দেশে দেশে ব্যাংকগুলোর শেয়ারে দরপতন হয়েছে। ডলারের মান কিছুটা কমেছে, বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের। বাড়ছে ক্রিপ্টোকারেন্সির দামও।
 
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। এ ছাড়া আটকে গেছে অনেকের অর্থ। ব্যাংক দুটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় এগুলোর প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা পুঁজিপতিরাই শুধু এ মুহূর্তে অস্থিরতার সম্মুখীন হচ্ছেন না, সাধারণ কর্মীরাও আছেন বিপাকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মীদের এখন কী হবে?
 
এ অবস্থায় গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে এগিয়ে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানান, সব গ্রাহক তাদের অর্থ ফেরত পাবেন। এ ছাড়া ব্যাংক-কাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ১২ মার্চ রোববার প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংকের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা যেন তাদের সঞ্চিত অর্থ ফিরে পান, সে জন্য অর্থমন্ত্রী জানেত ইয়েলেন এবং জ্যেষ্ঠ অর্থ উপদেষ্টা লায়েল ব্রেইনার্ড তার নির্দেশক্রমে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু বাইডেনের আশ্বাসে কাজ হয়নি। সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংকের পতনের ধাক্কায় ১৩ মার্চ সোমবার বিশ্বজুড়ে ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন ঘটেছে। সোমবার সিটিগ্রুপের শেয়ারের মূল্য পড়ে গেছে শতকরা ৭.৪৫ ভাগ। ওয়েলস ফারগোর পতন হয়েছে শতকরা ৭.১ ভাগ, ব্যাংক অব আমেরিকার পতন হয়েছে শতকরা ৫.৮ ভাগ এবং জেপি মর্গানের পতন হয়েছে শতকরা ১.৮ ভাগ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আঞ্চলিক ব্যাংক হলো ফার্স্ট রিপাবলিক। তাদের শেয়ারের পতন হয়েছে শতকরা ৬২ ভাগ। ওয়েস্টার্ন এলায়েন্স শতকরা ৪৭ ভাগ লোকসান দেওয়ার পর লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। কি-কর্পের শেয়ারের পতন হয়েছে শতকরা ২১ ভাগ। সোমবার দিনের শুরুতে স্পেনের সানতানদার এবং জার্মানির কমার্জ ব্যাংকের শেয়ার একটা সময় ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ বিষয়ে ট্রাম্প আমলে হোয়াইট হাউসের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ মুর সতর্ক করেছেন এই বলে যে, এসভিবি হতে পারে বরফচাঁইয়ের মাত্র অগ্রভাগ। বাইডেন চার ট্রিলিয়ন ডলারের কোভিড স্টিমুলেশন প্যাকেজ ঘোষণার পর এই দুর্বল অবস্থা প্রকাশিত হয়েছে।
 
এদিকে ব্যাংক খাত রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ নতুন তহবিল গঠনে জোর দিচ্ছে। ব্যাংক টার্ম ফান্ডিং প্রোগ্রাম (বিটিএফপি) নামে নতুন এই তহবিলের পরিকল্পনা এরই মধ্যে প্রকাশ করেছে ফেডারেল রিজার্ভ। এর আওতায় ব্যাংক, সঞ্চয়ী সংস্থা, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানসহ যোগ্য আমানত সংগ্রাহক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ দেওয়া হবে। অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, বিটিএফপি নামের নতুন এই প্রোগ্রাম তারল্য সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাংকগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি সুদের হারের ঝুঁকি থেকেও বাঁচাবে। যা ঝুঁকিতে থাকা ব্যাংকগুলোর সংকট কাটিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
 
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাতের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে; যা সামগ্রিকভাবে ব্যাহত করতে পারে দেশটির গোটা অর্থনীতিকে। তাদের অনেকে আশঙ্কা করছেন, আবারও হয়তো ২০০৭-২০০৮ সালের মতো ব্যাংকিং সেক্টরে একটি আঘাত আসতে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদ হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করতে পারে বলে একটি ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফেডারেল রিজার্ভ সুদ হার বৃদ্ধির ওই পরিকল্পনা সাজিয়েছিল।
 
আন্তর্জাতিক স্বর্ণের বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংবাদমাধ্যম কিটকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৩ মার্চ সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স (২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৯০০ ডলারে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিপ্টোকারেন্সির ফ্ল্যাগশিপ ব্যাংক সিলভার গেট দেউলিয়া হলেও ফিয়াট কারেন্সিতে (প্রচলিত মুদ্রা) আগ্রহ হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে দাম বাড়ছে ক্রিপ্টোকারেন্সির। সোমবার প্রধান ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি। একই অবস্থা কয়েন মার্কেট ক্যাপের হিসেবে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইথারিয়ামেরও, এটি বেড়েছে ১৫ শতাংশেরও বেশি। বর্তমানে ইনভেস্টিং ডটকমের হিসেবে বিটকয়েনের দাম রয়েছে ২৪ হাজার ডলারের বেশি, ইথারিয়ামের দাম ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫০ ডলার। এ ছাড়া তালিকায় ৪ নম্বর অবস্থানে থাকা বিএনবির দাম বর্তমানে ৩০৫ ডলার। দাম বেড়েছে একসময়ে ইলন মাস্কের ছায়ায় থাকা ডজকয়েনেরও, ৭ সেন্ট ছাড়িয়েছে এর দাম। তালিকায় বর্তমানে ডজকয়েনের অবস্থান ৯ নাম্বারে। বেড়েছে সোলানার দামও, এরই মধ্যে ছাড়িয়েছে ২০ ডলার। এ ছাড়া পুরো ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতের মার্কেট ক্যাপ ১ লাখ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকগুলোর পতনে আবারও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।
 
বিপদের শুরু যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বাড়ানোর পর থেকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে সুদহার বাড়ালে তা বিপজ্জনক হয়ে দেখা দেয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য। তাদের পক্ষে বেশি সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কম সুদে বিনিয়োগ করার ফলে মুনাফা কমে আসছিল, কমছিল বিনিয়োগও। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দেয় প্রযুক্তি খাতে মন্দা। সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক থেকে তাদের মূলধন তুলে নিচ্ছিলেন এবং নতুন বিনিয়োগও হচ্ছিল না। পুরোনো যেসব ঋণ ছিল, সেগুলোও পুনরুদ্ধার চলছিল ধীর গতিতে। ফলে ব্যবসায় দেখা দেয় মন্দা।
 
এরই মধ্যে খবর রটে, মূলধন সংকটে ভুগছে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি)। ব্যাংকটি তারল্য (নগদ মুদ্রা) সংকট কাটাতে ২২৫ কোটি ডলার মূলধন জোগাড়ে নেমেছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। পরে ৮ মার্চ বুধবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, তারা ২২৫ কোটি ডলার জোগাড় করতে শেয়ার বিক্রি করছে। এ ঘোষণাই এসভিবির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয়। কারণ, এর পর থেকে গ্রাহকেরা ব্যাংকটি থেকে এক দিনের মধ্যে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার তুলে নেন এবং ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার দিন শেষে ব্যাংকটি ৯৫ কোটি ডলার ঋণের কবলে পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে শেয়ারবাজারে এসভিবির স্টকের দাম কমতে শুরু করে এবং বিকেলের মধ্যে তা অন্যান্য ব্যাংকের শেয়ারের মূল্যকেও নিম্নগামী করে ফেলে। ফলে বিনিয়োগকারীরা আবারও ২০০৭-২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করতে শুরু করেন। তবে তেমনটা ঘটেনি। কিন্তু তাতে এসভিবির ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। শুক্রবার সকালের মধ্যে এসভিবির শেয়ার লেনদেন বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত মূলধন বাড়ানোর প্রচেষ্টাও ছেড়ে দেয়। ফলাফল হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আর্থিক নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করে বন্ধ করে দেয়।
 
মার্কিন ব্যাংকিং ইতিহাসের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যর্থতার ঘটনা হিসেবে ১২ মার্চ রোববার বন্ধ হয় সিগনেচার ব্যাংক। ওইদিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি) সিগনেচার ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। নিউইয়র্কের ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বলছে, গত বছরের শেষ নাগাদ সিগনেচার ব্যাংকের সম্পদ ছিল ১১০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। আমানতের পরিমাণ ছিল ৮৮ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। হঠাৎ করে এই ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েন আমানতকারীরা। বাণিজ্যিক ব্যাংক সিগনেচারের অফিস রয়েছে নিউইয়র্ক, কানেকটিকাট, ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাদা ও নর্থ ক্যারোলিনায়। রিয়েল এস্টেট এবং ডিজিটাল অ্যাসেট ব্যাংকিংসহ নয়টি শাখায় ব্যবসা পরিচালিত হতো এ ব্যাংকের অধীনে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ব্যাংকের আমানতের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এসেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি খাত থেকে। কিন্তু ডিসেম্বরে তারা ক্রিপ্টোর ৮ বিলিয়ন ডলারের আমানত কমানোর ঘোষণা দেয়।
 
বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক খাতের ইতিহাসে দ্বিতীয় বড় পতনের ঘটনা এটা। এর আগে ২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার মধ্যে অর্থ সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন মিউচুয়াল ব্যাংকের কার্যক্রম স্থগিত করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা, যার সম্পদমূল্য ছিল ৩০৭ বিলিয়ন ডলার। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতনে বড় ধাক্কা খায় প্রযুক্তি খাত। এর প্রভাব শুধু আমানতে নয়, ঋণ কার্যক্রম ও অন্যান্য অর্থায়নেও পড়ার শঙ্কা দেখা দেয়।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।