দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আলদুহেইলান। রোববার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস” উপলক্ষ্যে সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সাউদ এবং সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সাউদের দুটি শুভেচ্ছা পত্র রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছাপত্রে দু’দেশের সরকার এবং জনগণের অব্যাহত উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এই সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হচ্ছে। সম্প্রতি সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ তুলে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ সফর দু’দেশের পারস্পরিক বিভিন্নমুখী দ্বিপাক্ষিক সংযুক্তির ক্ষেত্রে অভিনব সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুমাত্রিক। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য বিনিয়োগ বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তা প্রদানের জন্য সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আশা করেন, এ সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং সৌদি আরব রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রায় ২৮ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি সৌদি আরবের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত আছেন। তারা বেশ পরিশ্রমী, দক্ষ এবং আন্তরিক। এরা সৌদি আরব উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দেশকন্ঠ/অআ