দেশকণ্ঠ ডেস্ক : থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন দেশটিতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার একটি ডিক্রি অনুমোদন করেছেন। সোমবার রয়াল গেজেটের একটি ঘোষণা অনুসারে, আগামী মে মাসে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে থাই রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব হ্রাসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত ডিক্রিতে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের অর্থ ‘রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে রাজার সঙ্গে গণতান্ত্রিক সরকার অব্যাহত রাখার জন্য জনগণের কাছে দ্রুত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া।’ পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ার ৪৫ থেকে ৬০ দিন পর নির্বাচন করার নিয়ম রয়েছে। নির্বাচনের তারিখ এখনো ঘোষণা করা না হলেও দিনের শুরুতে উপপ্রধানমন্ত্রী উইসানু ক্রি-এনগাম বলেছিলেন, যদি সোমবার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয় তাহলে সম্ভবত ১৪ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
থাইল্যান্ডের আগামী নির্বাচনে ধনকুবের সিনাওয়াত্রা পরিবার এবং দেশটির রক্ষণশীল সামরিকপন্থীর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক লড়াই দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিনের মেয়ে পাইটংটার্ন সিনাওয়াত্রা মতামত জরিপে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। সপ্তাহান্তে প্রকাশিত একটি জরিপে তার সমর্থন ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৩৮ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনআইডিএ) জরিপে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ও-চা, যিনি ফেউ থাই সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন, তিনি ১৫.৬৫ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ৬৮ বছর বয়সী প্রায়ুত নির্বাচনের আগ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন। পার্লামেন্ট বিলুপ্তির পর একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে আমি ভালো কিছু তৈরি করেছি, দেশের জন্য রাজস্ব তৈরি করেছি, শিল্প তৈরি করেছি। সেখানে প্রচুর বিনিয়োগ হয়েছে।
সূত্র : মালয় মেইল, রয়টার্স
দেশকণ্ঠ/আসো