• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৫:০৯    ঢাকা সময়: ০১:০৯

বেশিরভাগ আমেরিকানের মতে ইরাক আক্রমণ ছিল ভুল

দেশকন্ঠ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে আগ্রাসন চালানোর দুই দশক পর ৬১ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করে না যে দেশটির ইরাক আক্রমণের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইট ‘অ্যাক্সিওস’ এবং ফরাসি বহুপাক্ষিক মার্কেট রিসার্চ ও পরামর্শক গ্রুপ ‘ইপসোস’ নতুন এক জরিপ রিপোর্টে এ কথা জানায়। গত সপ্তাহে প্রকাশিত জরিপের অ্যাক্সিওস রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আক্রমণের পর যে বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসলীলা হয়েছে তা আমেরিকানদের একটি প্রজন্ম এবং তাদের নেতাদের বিদেশে সামরিক শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আরও সন্দিহান করে তুলেছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে।’ 
 
এতে উল্লেখ করা হয়, আগ্রাসন একজন ‘নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের’ পতন ঘটিয়েছে কিন্তু ‘ইরাকে ২০ বছরের অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে এবং বিশ্বে আমেরিকার অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’ ১৭ মার্চ, ২০০৩ তারিখে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ একটি আল্টিমেটাম জারি করেছিলেন যে ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইরাক ত্যাগ না করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক পদক্ষেপ নেবে। এরপর ১৯ মার্চ, বাগদাদে বোমা পড়তে শুরু করে। ২০ মার্চ, স্থল আক্রমণ শুরু হয়।
 
আক্রমণটি বিদেশে অত্যন্ত বিতর্কিত ছিল, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তখন অত্যন্ত সমর্থন পেয়েছিল। ফেব্রুয়ারি ২০০৩-এ ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান ‘দ্য পিউ রিসার্চ’ সেন্টারের এক জরিপে দেখা গেছে, ৬৬ শতাংশ আমেরিকান সামরিক পদক্ষেপের অনুমোদন দিয়েছে এবং মাত্র ২৬ শতাংশ অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
 
সাদ্দাম হোসেনের কাছে ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে এই অজুহাতে বুশ প্রশাসন আগ্রাসনের ন্যায্যতা দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে কোন গণবিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া যায়নি। সাদ্দাম হোসেন ৯/১১ হামলায় ভূমিকা রেখেছেন পিউ জরিপ অনুসারে এই মিথ্যা প্রচারণাও সেই সময়ে ৫৭ শতাংশ আমেরিকানও বিশ্বাস করেছিল। 
দেশকন্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।