দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : আরও প্রায় ৪০ হাজার পরিবার পাচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দুই শতাংশ জমিসহ নতুন ঘর তুলে দেওয়া হবে এসব পরিবারের হাতে। যেখানে থাকছে পানি ও বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধা। ২২ মার্চ বুধবার সকালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমির মালিকানাসহ চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি ৩টি উপজেলায় উপকারভোগীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তিনি। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশাল জেলার বানারিপাড়া উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা দুই লাখ ৫৯ হাজার ২৩৭টি। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি, তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২০২২ সালের ২১ জুলাই ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৫ হাজার ৮২৭টি ঘর দেয়া হবে।
এর আগে তিন দফায় এক লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হয়। স্বামী-স্ত্রীর যৌথ মালিকানায় দুই শতাংশ জমি দলিল ও নামজারি করে দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে। তারা এই জমির পুরোপুরি মালিকানা পাচ্ছেন। তবে শর্তানুসারে তারা জমি হস্তান্তর করতে বা বন্ধক দিতে পারবেন না। ভবিষ্যতে গৃহ সংস্কারের প্রয়োজন হলে মালিকানা হিসেবে তারাই সেটা করবেন।মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর হয়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮শ' ৩১টি ঘর। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের মাধ্যমেও আবাসনি সুবিধা মিলেছে গৃহহীনদের।
দেশকণ্ঠ/রাসু