• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১০:১৭    ঢাকা সময়: ২০:১৭

রোজায় ব্লাড সুগার পরীক্ষা করবেন কখন?

দেশকন্ঠ ডেস্ক : ডায়াবেটিক রোগীর সুস্থতার চাবিকাঠি হলো নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, সময়মত ওষুধ সেবন এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন। লক্ষ্য একটাই- যাতে রক্তের শর্করা থাকে নিরাপদ মাত্রায়।এজন্য ডায়াবেটিস হলে নিয়মিত ব্লাড সুগার পরীক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী খাবার ও ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। রোজার মাসে যেহেতু আমাদের খাদ্যগ্রহণের সময় ও খাবারের ধরণ পাল্টে যায়, এসময় ডায়াবেটিক অনেক রোগীরা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পড়েন তাদের ব্লাড সুগার পরীক্ষা নিয়ে। এটি সবাই জানেন, রক্ত পরীক্ষায় রোজা ভেঙে যায় না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পরীক্ষা কখন করবেন এবং পরীক্ষায় শর্করার মাত্রা কেমন আসা উচিত?  

রমজানে খাবার খাওয়ার সময় পরিবর্তিত হয়। পরিবর্তিত হয় ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণের সময় ও মাত্রা। আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যতালিকা এবং ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করে নেয়া উচিত। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনবারের ওষুধ এক বা দুবারে পরিবর্তন করে নিন। এরপর কয়েকটি রোজা পার হয়ে গেলে ব্লাড সুগার টেস্ট করে ওষুধের ডোজ ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। রোজার সময় কয়েকবার করে রক্তের শর্করা মেপে দেখা দরকার। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে সেহরির দুই ঘণ্টা পর এবং ইফতারের এক ঘণ্টা আগে। এছাড়াও অন্য সময় প্রয়োজনবোধে পরীক্ষা করা যেতে পারে।ডায়াবেটিক রোগীদের ব্লাড সুগার অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া (হাইপারগ্লাইসেমিয়া) এবং কমে যাওয়া (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) দুটোরই ঝুঁকি থাকে যা রোজা অবস্থায় আরো বেশি। তাই অসুস্থ বোধ করলে সাথে সাথে ব্লাড সুগার মাপুন।

যেকোনো সময় রক্তে শর্করার মাত্রা ৩.৩ মিলিমোল/লিটার (৬০ মি.গ্রা/ডে.লি) এর কম হলে তা আশংকাজনক। আর সেহরীর পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই মাত্রা ৩.৯ মিলিমোল/লিটার (৭০ মি.গ্রা/ডে.লি) এর কম হলেই তা হাইপোগ্লাইসেমিয়া নির্দেশ করে। অন্যদিকে রক্তের শর্করা ১৬.৭ মিলিমোল/লিটার (৩০০ মি.গ্রা/ডে.লি) এর বেশি হওয়ার অর্থ হাইপারগ্লাইসেমিয়া। হাইপো বা হাইপারগ্লাইসেমিয়া যাই হোক না কেন এক্ষেত্রে রোজা রাখা নিরাপদ হবে না।আসলে ডায়াবেটিস স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনো বাধা নয়। শুধু প্রয়োজন বাড়তি সাবধানতা। রোজার সময় রক্তের সুগার পরীক্ষা সেই সাবধানতারই অংশ মাত্র।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।