• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৭:১৬    ঢাকা সময়: ১৭:১৬

২২ রানে জয়ে শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ

দেশকণ্ঠ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : বৃষ্টিতে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে গিয়েছিল চট্টগ্রামে। দুর্দান্ত লিটন-রনির ব্যাটিংঝড়ের পর বল হাতে আগুন ঝড়ালেন তাসকিন-হাসানরা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আইরিশদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১০৪ রান, ৮ ওভারে। উদ্বোধনীতে ফুসে উঠেছিল। কিন্তু চতুর্থ ওভারে আক্রমণে ৩ উইকেট তুলে নেন তাসকিন। সেখানেই সব লড়াই শেষ হয় সফরকারীদের। ২২ রানের জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-০ তে এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ।
 
দারুণ সূচনা পেয়েছে লিটন-রনিদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। বৃষ্টি বাধার আগে ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে তুলে নেয় ২০৭ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড।  
 
২৭ মার্চ সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে ১০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ৪ হাঁকিয়ে শুরু করেন পল স্টার্লিং। দুই ওপেনার মিলে এই ওভারে চার চারে ১৮ রান তোলেন। পরের ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান খরচ করেন ১৪ রান। তাতে ২ ওভার শেষে ৩২ রান তুলে কাঁপন ধরিয়ে দেয় সফরকারীরা। তৃতীয় ওভারে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ প্রথম তিন বল ডট দেওয়ার পর চতুর্থ বলে পুরোপুরি পরাস্ত হন রস অ্যাডায়ার। মিডল স্টাম্পের ওপর নিখুঁত এক ইয়র্কারে চোখে রীতিমতো সর্ষে ফুল দেখেছেন রস। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ১৩ রান। আর পরের ওভারে শুরু করেন তাসকিন আহমেদ। এই পেসারের স্বপ্নের মতো এক ইয়র্কারে স্টাম্প উপড়ে গেছে লরকার টাকারের। দুই বল পর আরও তাসকিনের শিকার। এবার গুড লেন্থের বলে শিকার স্টার্লিং। পরের বলে তাসকিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে থার্ডম্যানে শামীম পাটোয়ারীর হাতে ধরা পড়েন জর্জ ডকরেল। দলীয় ৫০ রান পূর্ণ করার আগেই সাজঘরে ফেরেন আইরিশদের ৪ টপ অর্ডার ব্যাটার। এরপর বাকিরা চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। হ্যারি ট্যাক্টর-ডেলানিরা কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৮ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮১ রানে থেমেছে আয়ারল্যান্ড। ১৬ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার তাসকিন। এই ভার্সানে এই পেসারের এটা ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।
 
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড় তোলার আভাস দেন লিটন দাস। এরপর বোলারদের ওপর চড়াও হন অপর প্রান্তের রনি তালুকদার। এ দুজনের ব্যাটে পাওয়ারপ্লেতে রেকর্ড রান (৮১) সংগ্রহ করেন। এর আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭৬, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৩ সালে। যদিও দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি লিটন। ক্রেইগ ইয়াংয়ের স্লোয়ার বল মিড অফের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। টাইমিংটা ঠিকঠাক হয়নি, সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন পল স্টার্লিং। ভাঙে ৪৩ বল স্থায়ী ৯১ রানের জুটি। ২৩ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৭ রান করেন লিটন। লিটনের বিদায়ের পরপরই শান্তর সঙ্গে জুটি গড়ে ইনিংস এগিয়ে নেন রনি। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ম্যাচে প্রথম ফিফটির জন্য তিনি খেলেছেন স্রেফ ২৪ বল। ৬টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মেরেছেন ৩২ বছর বয়সী ওপেনার। এমন দিনে ব্যর্থ হয়েছেন দারুণ ছন্দে থাকা শান্ত; করেছেন ১৪ রান। একাদশে সুযোগ পাওয়া শামীম পাটোয়ারীও বাকিদের দেখানো পথেই হাঁটলেন। তবে গ্রাহাম হিউমের ফুললেংথের বলটা যতটা ভেবেছিলেন, ততটা ওঠেনি। পুরোপুরি মিস করে বোল্ড রনি। ৩৮ বলে তার ৬৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস থামে সেখানেই। লিটনের সঙ্গে ৯১, শান্তর সঙ্গে ২৭ রানের পর শামীম হোসেনের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটির পর থামলেন রনি। ব্যাটিং পজিশনে উন্নতির দিনে বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রান এগিয়ে নিচ্ছিলেন শামীম। তবে মার্ক অ্যাডায়ারের চমৎকার এক স্লোয়ারে কাটা পড়তে হয় তাকে। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া অফ কাটার ঠিকমতো খেলতে পারেননি শামীম। শরীরের বেশ দূরের বল খেলার চেষ্টায় ক্যাচ তুলে দেন এক্সট্রা-কাভারে। সেখানে কোনো ভুল করেননি পল স্টার্লিং। ২০ বলে এক ছক্কা ও দুই চারে কার্যকরী ৩০ রানের ইনিংস খেলেন শামীম।
 
দ্রুত রান তুলতে গিয়ে সাজঘরে ফিরলেন হৃদয়ও। ক্রেইগ ইয়াংয়ের আগের বলে লং দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন। পরের বলে তুলে মারতে গিয়ে পার করতে পারেননি ফিল্ডারকে। মুঠোয় জমান গ্যারেথ ডেলানি। ৮ বলে এক ছক্কায় ১৩ রান করেন হৃদয়। তবে হৃদয়ের আউটের আগে দুইশ ছাড়ায় বাংলাদেশের ইনিংস। এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন সাকিব (২০) ও মেহেদী মিরাজ (৪)।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।