দেশকণ্ঠ ডেস্ক : ২০১৭ সাল থেকেই ২৫ মার্চ দিনটিকে ‘বাংলাদেশ গণহত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছে বাংলাদেশ। শনিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের সামনেও বেশ কিছু সংগঠন ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার দাবিতে সরব হয়। ‘বিশ্ব গণহত্যা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করা হোক ২৫ মার্চ দিনটিতে। রাষ্ট্রপুঞ্জে এমনই আর্জি জানাল বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নিরীহ মানুষের উপর যে ‘অত্যাচার’ চালিয়েছে, সেটিকে গণহত্যা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ারও দাবি তুলেছে শেখ হাসিনার সরকার।
মুক্তিযুদ্ধের শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল সাবেক পাকিস্তান। বাংলাদেশের তরফে একাধিক বার নানা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ১৯৭১ সালে পাক সেনাবাহিনীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ৯ মাসের গণহত্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। আবারও সেই প্রসঙ্গ তুলে শনিবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, “আজকের দিনেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী মধ্যরাতে দেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ৯ মাস ধরে তারা ৯০ লক্ষ নরনারীকে হত্যা করছে। আমাদের মনে হয় এমন নৃশংস গণহত্যার ঘটনা বিশ্বে আর কোথাও ঘটেনি।”
২০১৭ সাল থেকেই ২৫ মার্চ দিনটিকে ‘বাংলাদেশ গণহত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছে সে দেশের আওয়ামি লিগ সরকার। শনিবার জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের সামনেও বাংলাদেশের বেশ কিছু সংগঠন এই দাবিতে সরব হয়। তারা গণহত্যা ঘটানোর জন্য তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিচার দাবি করে। সংগঠনগুলির তরফে এ-ও দাবি করা হয় যে, বিএনপি এবং জামাতের মতো কিছু দল এবং গোষ্ঠী পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে ২৫ মার্চ দিনটিতে লঘু হিসাবে দেখাতে চায়। বাংলাদেশের (সে সময়কার পূর্ব পাকিস্তান) জাতীয়তাবাদীদের দমন করে ওই দিনেই অপারেশন সার্চলাইট শুরু করেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পরে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের তরফে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়, তাদের পাশে দাঁড়ায় ভারতের সেনাবাহিনী।
দেশকণ্ঠ/আসো