দেশকন্ঠ ডেস্ক : অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর (এমওইউ) করেছে। এর আওতায় দুই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দেশে চীনা বিনিয়োগ আনতে যৌথভাবে কাজ করবে।বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও বেজা কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বেজার মহাব্যবস্থাপক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. মনিরুজ্জামান ও বিসিসিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন মৃধা নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এবং বিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সভাপতি মো. সুলতান উদ্দীন ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।
শেখ ইউসুফ হারুন এমওইউ স্বাক্ষরের জন্য বিসিসিআইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগকারিদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে আমরা বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করছি এবং পরিকল্পিত শিল্পায়নের জন্য প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে জমি প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে সরবরাহ কাঠামো শক্তিশালী রাখা, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ ও রপ্তানির ধারা অব্যাহত রাখতে বেজা কাজ করে যাচ্ছে।বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, চীনের সঙ্গে জিটুজি ভিত্তিতে চাইনিজ ইকোনমিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বর্তমানে বেজার আওতায় যে সকল সরকারি ও বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ চলমান রয়েছে সেখানে চীনা বিনিয়োগকারিরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগ করছেন। তিনি বেজা স্থাপিত পর্যটন পার্কসমূহে চীনা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চীনা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় বেজা সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
বিসিসিআই ও বেজার এই যৌথ প্রয়াস অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে চীনা বিনিয়োগকারিদের বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বিসিসিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন মৃধা বলেন, চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। তবে বেজার সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষরের ফলে সেই প্রয়াস আরও গতি পাবে। তিনি বলেন, চীনা বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বেজার যেসব সেবা রয়েছে সেগুলো আরও সহজ ও দ্রুততর করার প্রয়োজন। একইসাথে বিনিয়োগকারিদের বিনিয়োগ সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে আমরা সহজে বিনিয়োগকারিদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবো।তিনি জানান, বিসিসিআই ২০০৩ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে এবং সংগঠনটিতে বর্তমানে ৪৫০ জন চীনা বিনিয়োগকারি রয়েছেন।উল্লেখ্য,এমওইউ’র আওতায় দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে পলিসি ডায়ালগ আয়োজন করবে।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।