দেশকণ্ঠ ডেস্ক : সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত তরুণ হামজা ইউসুফ। হামজা ইউসুফ ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনসি) নেতা নির্বাচিত হন। আর দলীয় প্রধান হিসেবে তিনিই স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথও নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহনের পর সরকারী বাস ভবন বুট হাউসে মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ইফতারের পর মাগরিবের নামাজে ইমামতি করেছেন হামজা ইউসুফ। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে দুনিয়াজুড়ে বিশেষ করে পাকিস্তানসহ মুসলিম দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। নামাজ আদায়ের ছবি পাশাপাশি ইউসুফ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে আছেন। ইউসুফের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তার বাবা মুজাফফর ইউসুফ, মা শায়েস্তা ভুট্ট, স্ত্রী নাদিয়া এবং দুই মেয়ে। এক পোস্টে হামজা ইউসুফ লিখেছেন, ‘সংসদীয় ভোটের পর আমার পরিবার এবং আমি আমাদের প্রথম রাত বুট হাউসে কাটাচ্ছি। একটি বিশেষ মুহূর্ত, যা প্রথা অনুযায়ী একসঙ্গে ইফতারের পর বুট হাউসে আমার পরিবারের সদস্যদের প্রার্থনায় নেতৃত্ব দেওয়া।’
স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম নেতা হামজা ইউসুফ নিকোলা স্টার্জনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি বা এসএনপি-কে ঐক্যবদ্ধ করার কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার সামনে। দলে তার জয় প্রমাণ করে যে, স্বাধীনতাপন্থী দলটি অদূর ভবিষ্যতে তার প্রগতিশীল নীতি থেকে সরে আসছে না। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই দলের মধ্যে সব বিভাজন দূর করতে হবে। আমাদেরকে দ্রুত এই বিভাজন দূর করতে হবে কারণ আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে। আমরা যখন ঐক্যবদ্ধ থাকবো তখন দল হিসেবে আমরা হব সবথেকে শক্তিশালী। আর আমাদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারে শুধুমাত্র স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার দাবি।’
গ্লাসগোতে জন্মগ্রহণকারী ৩৭ বছর বয়সী ইউসুফ গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতিতে ডিগ্রি নিয়েছেন। স্নাতক হওয়ার পর তিনি ২০১১ সালে নিজে একজন স্কটিশ এমপির সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর তিনি নিজেই এমপি নির্বাচিত হন। তার বাবা পাকিস্তানে জন্মেছিলেন এবং ১৯৬০ এর দশকে তিনি স্কটল্যান্ডে যান। আর তার মা কেনিয়াতে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ইউসুফকে ২০১২ সালে প্রথম একজন জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। সেই সময়ে স্কটিশ সরকারে নিযুক্ত হওয়া সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং প্রথম জাতিগত সংখ্যালঘু ছিলেন তিনি। তিনি ২০১৮ সালে বিচারমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় যোগদান করেন এবং ২০২১ সালের মে মাসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন। ইউসুফ বলেন, স্বাধীন স্কটল্যান্ড রাজতন্ত্র থেকে বেড়িয়ে আসবে। পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের উচিৎ রাজতন্ত্র থেকে বেড়িয়ে এসে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাচিত করা।
দেশকণ্ঠ/আসো