দেশকণ্ঠ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকিতে রাতের একটি প্রশিক্ষণ মিশনের সময় মার্কিন সেনাবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নয় জন সৈন্য নিহত হয়েছে। ৩০ মার্চ এক জেনারেল এ কথা বলেছেন। মেডিকেল ইভাক্যুয়েশনের জন্য ডিজাইন করা ব্ল্যাক হক ভ্যারিয়ান্টের হেলিকপ্টারের এই দুর্ঘটনা ছিল গত আট বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই ধরনের সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জন লুবাস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, একটি নিয়মিত অনুশীলনের সময় এয়ারক্রাফটের পাইলটরা নাইট ভিশন গগলস ব্যবহার করে উড়ছিল এবং গ্রাইন্ডে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে একটি আবাসিক এলাকার এক খোলা মাঠে অবতরণ করে। লুবাস বলেছেন, বিধ্বস্তের ফলে ‘ক্রাফটিতে থাকা ৯ পরিষেবা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে’। তারা সকলেই কেনটাকির ফোর্ট ক্যাম্পবেলে অবস্থিত ১০১তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের সদস্য। পাঁচজন সৈন্য একটি হেলিকপ্টারে এবং চারজন অন্যটিতে ছিল। সামরিক বাহিনী এখনও নিহতদের পরিবারকে অবহিত করার জন্য কাজ করছে। আলাবামায় যেখানে ইউএস আর্মি এভিয়েশনের সদর দপ্তর রয়েছে সেখান থেকে একটি তদন্তকারী দল ফোর্ট ক্যাম্পবেলের দিকে যাচ্ছে। এখনো হেলিকপ্টার দ’ুটির কীভাবে সংঘর্ষ হয়েছে তা জানা যায়নি। লুবাস বলেন, ‘আলাবামা থেকে আমাদের একটি নিরাপত্তা দল ফোর্ট রাকার আসছে, যারা বিমানের নিরাপত্তা এবং বিশেষ করে এই তদন্তে বিশেষজ্ঞ।’
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার সেনাদের নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং যারা দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে সাড়া দিয়েছেন তাদের প্রশংসা করেছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি ‘এই মর্মান্তিক ক্ষতির জন্য দুঃখিত’। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা এই ভয়ানক, সত্যিকারের ভয়ঙ্কর, দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে শোকাহতদের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
এমএসএনবিসি দুর্ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছেন এমন একজন স্থানীয় বাসিন্দাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘দুটি হেলিকপ্টার সবেমাত্র আকাশ থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে। তীব্র আলোর ঝলকানি দেখা যায়।’ নিক টমাসজেউস্কি বলেন, অ্যাম্বুলেন্স আসার প্রায় ৩০ মিনিট আগে আরও একটি হেলিকপ্টার সেখানে এলাকাটি প্রদক্ষিণ করে। ইউএস আর্মি কমব্যাট রেডিনেস কেন্দ্রের মুখপাত্র জিমি কামিংস এএফপি’কে জানিয়েছেন, শেষবার ২০১৫ সালের ১০মার্চ ফ্লোরিডা উপকূলে একটি রাতের প্রশিক্ষণ মিশনের সময় লুইজিয়ানা ন্যাশনাল গার্ড ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ১১ জন নিহত হয়।
দেশকণ্ঠ/আসো