দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে দেখা গেছে ফরাসি সরকারের মন্ত্রী মারলেন শিয়াপ্পার ছবি। এর পরেই নিজের দলের সদস্যদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। জানা গেছে, নারী এবং সমকামীদের অধিকার ও গর্ভপাত সংক্রান্ত ১২ পৃষ্ঠার সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি প্লেবয়ের প্রচ্ছদের জন্য পোজ দিয়েছেন। মারলেন সামাজিক অর্থনীতি ও ফরাসি অ্যাসোসিয়েশনের মন্ত্রী। তাকে ম্যাগাজিনের ফরাসি সংস্করণে একটি সাদা পোশাক পরে দেখা যায়। ম্যাগাজিনের কভারে তার উপস্থিতি নিজের দলের সদস্যদের কাছে সমালোচনার উদ্রেক করেছে। একটি টিভি চ্যানেলে গ্রিন পার্টির এমপি স্যান্ড্রিন রুসো প্রশ্ন করেছেন, ‘ফরাসি জনগণের প্রতি সম্মান কোথায়?’ স্যান্ড্রিন রুস বলেন, যারা আরও দুই বছর কাজ করতে যাচ্ছেন, যারা বিক্ষোভ করছেন, যারা বেতন হারাচ্ছেন, যারা মুদ্রাস্ফীতির কারণে খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন না। নারীদের দেহ যেকোনো জায়গায় উন্মুক্ত করা সম্ভব। আমি তাই মনে করি, কিন্তু এর একটা সামাজিক প্রেক্ষাপট আছে। নারী অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করা, শিয়াপ্পা লিঙ্গ সমতার জন্য প্রচার চালিয়েছেন, রাস্তায় মহিলাদের অসম্মান করা, অনুসরণ করা ও নারীদের হয়রানি নিষিদ্ধ করে এমন একটি ফরাসি আইনের প্রণয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজনীতিবিদ জিন লুক মেলেনকন একটি টুইটে লিখেছেন, যে দেশে রাষ্ট্রপতি নিজেকে পিফ ও তার মন্ত্রী প্লেবয় হিসেবে প্রকাশ করেন, সেখানে সমস্যা হবে বিরোধীরা। ফ্রান্স লক্ষ্য থেকে সরে যাচ্ছে।
এদিকে শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে টুইটারে একটি পোস্টে মারলেন শিয়াপ্পা বলেন, নারীদের তাদের দেহ উন্মুক্ত করার অধিকার রক্ষা করা সর্বত্র ও সর্বদা। ফ্রান্সে নারীরা স্বাধীন। এদিকে প্লে-বয় তার ফরাসি ভাষার সংস্করণকে ডিফেন্ড করেছে ও বলেছে যে এটি কোনো ‘সফট পর্ণ ম্যাগাজিন’ নয়। সম্পাদক জিন-ক্রিস্টোফ ফ্লোরেনটিন এএফপিকে বলেছেন, শিয়াপ্পা সরকারের সব মন্ত্রীদের মধ্যে সব থেকে প্লেবয় সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলেন। ‘কারণ তিনি নারীদের অধিকারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এটি পুরানো মাচোদের জন্য একটি ম্যাগাজিন নয়। এটি নারীবাদী বিষয়ের জন্য একটি উপকরণ হতে পারে। তিনি বলেন, প্লেবয় একটি সফট পর্ণ ম্যাগাজিন নয় ও একটি ৩০০ পাতার ত্রৈমাসিক একটি বই ও একটি পত্রিকার মিশ্রণ। যার একটি বুদ্ধিবৃত্তি ও ট্রেন্ড রয়েছে। ফ্লোরেনটিন স্বীকার করেন যে, এখানে কিছু পোশাকবিহীন নারীর ছবি ছিল, কিন্তু সেগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে হয়েছে যখন ফ্রান্স একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের মাঝে রয়েছে। ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্যাপক জনবিক্ষোভ সত্ত্বেও বিতর্কিত পেনশন সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপের ফলে শুরু হয়েছে এই সংকট।
দেশকন্ঠ/অআ