• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১০:৪৫    ঢাকা সময়: ২০:৪৫
অলিগলিতে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি

কালীগঞ্জে দেখার যেন কেউ নেই

দেশকণ্ঠ প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) : গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ৭ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অলিগলিতে গড়ে উঠেছে ঔষধ ফার্মেসি। এসব ফার্মেসীর বেশির ভাগের নাই সর্বনিন্ম ফার্মাসিস্ট কোর্সের অভিজ্ঞতার সনদ ও ফার্মেসী ব্যবসার অনুমোদনপত্র। তারপরেও দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে ঔষধ বেচা কেনা। এই অনিয়ম দেখার বা বলার যেন কেউ নেই।
 
সরজমিনে ঘুরে অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকা ও ইউনিয়ন মিলে প্রায় ৫ শতাধিক ঔষধ ফার্মেসি রয়েছে। ২০১৮ সালের তালিকা অনুযায়ী এর মধ্যে ১৪২ টির মত ঔষধ ফার্মেসির বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। তবে কিছু বৈধ লাইসেন্সের মেয়াদ উর্ত্তীণ হলেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে গ্রামের অলিগলিতে যেসব ফার্মেসি গড়ে উঠেছে তাদের কয়েক জনের সর্বনিম্ন ফার্মাসিস্ট কোর্সের সনদ থাকলেও অনেকের নেই। যাদের ফার্মাসিস্ট সনদ রয়েছে তারা বলেন, ড্রাগস লাইসেন্স নেই,ঔষধ বিক্রি করার কোন ধরনের বৈধ কাগজ নেই অথচ তারা ঔষধের ফার্মেসি খুলে বসেছে।
 
এমন কি অলিগলিতে ফার্মাসিস্ট সনদ বিহীন ঔষধ ফার্মেসি যারা করছে তারা আবার নিজেদের কে পল্লি চিকিৎসক বা আর এম এফ ডাক্তার বলে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। অথচ ড্রাগস আইনে উল্লেখ আছে আর এম এফ করা ব্যক্তিরা নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করতে পারবে না। এমনকি তারা কোন প্রকার ঔষধ প্রদর্শন বা বিক্রয় করতে পারবে না। এসব লাইসেন্স বিহীন ঔষধ ফার্মেসি গুলো নিম্নমানের কোম্পানির ঔষধ নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ভাল মানের কোম্পানির ঔষধের দামে বিক্রয় করছে। এতে প্রতারিত হচ্ছে রোগীরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ফার্মেসিগুলো অবাধে যৌন উত্তেজক ঔষধ থেকে শুরু করে উঠতি বয়সের যুবকদের কাছে অবাধে চিকিৎসা পত্র ছাড়াই ঘুমের ঔষধ বিক্রয় করে আসছে।
 
কালীগঞ্জ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সালাউদ্দিন বলেন, যাদের বৈধ লাইসেন্স নেই তাহারা যাতে সহজে লাইসেন্স পায় কর্তৃপক্ষ যেন সেই ব্যবস্থা করেন। তিনি আরো বলেন, লাইসেন্সবিহীন ঔষধ ফার্মেসির কারণে বৈধ লাইসেন্সধারীরাও ব্যবসায়ীকভাবে দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
 
এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আহসান হাবিব সরকারের এক গণবিজ্ঞপ্তির বরাদ দিয়ে প্রতিবেদককে জানান, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত যাদের বৈধ কাগজ পত্র নেই তারা ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া সম্প্রতি আমরা ২৬ ফার্মেসি মালিককে কারণদর্শানো নোটিশ করেছি। তাদের জবাব সন্তোসজনক না হলে নিয়মিত মামলা হবে এবং ১৮টি ফার্মেসি মালিকের বিরুদ্ধে গাজীপুর কোর্টে নিয়মিত মামলা হয়েছে।
 
তিনি আরোও বলেন, তিনিই ঔষধ বিক্রি করতে পারবে যার ফার্মাসিস্ট ট্রেনিং এবং ড্রাগ লাইসেন্স রয়েছে। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ঔষধের ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনগতভাবে এটি একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। ফার্মাসিস্ট সার্টিফিকেট ছাড়া কোন ড্রাগ লাইসেন্স হবে না।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।