• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৩:৩১    ঢাকা সময়: ১৩:৩১
এবার কারেন ম্যাকডুগাল গল্প

ট্রাম্পের মামলায় দ্বিতীয় এ নারী কে

দেশকন্ঠ ডেস্ক : সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় গতকাল মঙ্গলবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ম্যানহাটানের আদালতে শুনানি হয়। এদিন শুনানি চলার সময় কৌঁসুলিরা আরও এক নারীর নাম উল্লেখ করেন। সরাসরি নাম উল্লেখ না করে নথিতে লেখা হয়েছে, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নারী-১–কে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ নারী হলেন প্লেবয় সাময়িকীর সাবেক মডেল কারেন ম্যাকডুগাল। পর্নো তারকা ড্যানিয়েলসের মতো ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁরও সম্পর্ক ছিল বলে তিনি দাবি করেছেন। কে এই প্লেবয় মডেল? ট্রাম্পের সঙ্গে কীভাবে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে? আর কত দিন টেকে সেই সম্পর্ক?
 
ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গ্যারি এলাকায় জন্ম ম্যাকডুগালের। শৈশবে মিশিগানে পাড়ি জমান তিনি। বয়স যখন ২০–এর কোটায়, তখন বিকিনির প্রতিযোগিতায় মডেলিং শুরু করেন তিনি।
 
এরপর ম্যাকডুগাল প্লেবয় সাময়িকীতে যোগ দেন। সেখানে ১৯৯৮ সালে প্লেমেট অব দ্য ইয়ার হন তিনি। প্লেমেট অব দ্য নাইনটিস-এ তিনি দ্বিতীয় হয়েছিলেন। প্রথম হয়েছিলেন পামেলা অ্যান্ডারসন। পরবর্তী সময় ফিটনেস মডেল হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। তিনিই প্রথম নারী যাঁকে নিয়ে ১৯৯৯ সালে মেন’স ফিটনেস সাময়িকী প্রচ্ছদ করেছিল। বিভিন্ন টেলিভিশন বিজ্ঞাপনেও তাঁকে দেখা যেত। ছোটখাটো কিছু চরিত্রে তিনি অভিনয়ও করেছেন।
 
২০০৬ সালে ম্যাকডুগালের বরাতে নিউইয়র্কের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, লস অ্যাঞ্জেলেসের প্লেবয় ম্যানশনে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সেখানে তিনি দ্য অ্যাপ্রেন্টিসের একটি পর্ব রেকর্ড করছিলেন। পরবর্তীকালে ম্যাকডুগাল লেখেন, ‘ট্রাম্প দ্রুতই আমাকে পছন্দ করে ফেলেন, আমার সঙ্গে কথা বলতে থাকেন, আমি দেখতে কতটা সুন্দর, তা বলেন।’
 
ম্যাকডুগাল দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের ১০ মাস সম্পর্ক ছিল। বিবাহিত ট্রাম্প সে সময় মাসে অন্তত পাঁচ দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন। সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাকডুগাল বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল প্রেমময় ও সম্মতিমূলক।
 
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র ন্যাশনাল ইনকোয়ারার-এর সঙ্গে তাঁর ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার মূল্যের একটি চুক্তি হয়। নিজের অজানা গল্প শুধু এ সংবাদপত্রকে শোনানোই ছিল এ চুক্তির শর্ত। আর এ চুক্তির কারণে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে পারেননি তিনি। তবে ন্যাশনাল ইনকোয়ারার কখনোই তাঁর সে গল্প প্রকাশ্যে আনেনি। ম্যাকডুগালের অভিযোগ, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নেতিবাচক খবর বন্ধ করিয়ে রাখতে সংবাদপত্রটি কৌশলে কাজটি করেছিল।
 
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তদন্তে দেখা যায়, ম্যাকডুগালের গল্পের স্বত্ব কিনে নিয়ে তা প্রকাশ না করার মধ্য দিয়ে ইনকোয়ারার নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করেছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময় ম্যাকডুগালকে যে অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা অবৈধ প্রচারণার জন্য অনুদান দেওয়ার শামিল। ন্যাশনাল ইনকোয়ারকে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
 
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ম্যাকডুগাল এখন নিজেকে মডেল, কলাম লেখক ও মডেল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ‘ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট’জনিত অসুস্থতা নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডও চালিয়ে থাকেন তিনি। ২০১৮ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এ রিপাবলিকান নেতার বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। তবে ট্রাম্প বরাবরই ম্যাকডুগালের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন।
 
সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পকে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করেন। তিনিই প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টরমি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে তাঁর পক্ষ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল ড্যানিয়েলসকে।
 
এ মামলায় ৪ এপ্রিল ম্যানহাটানের ফৌজদারি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ট্রাম্প। তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে বিচারপতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ পড়ে শোনান। ট্রাম্প অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন।
 
ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্ক সিটিতে এসে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন ট্রাম্প।  ৪ এপ্রিল শুনানি শেষে আদালত চত্বর ছেড়ে তিনি ফ্লোরিডায় ফিরে গেছেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।