দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্রমাগতভাবে নির্বাচন থেকে পালালে একসময় বিএনপি দলটাই পালিয়ে যাবে।তিনি বলেন, 'আসলে বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের নিজেদের ওপরই কোন আস্থা নাই। ক্রমাগতভাবে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে এক সময় পুরো বিএনপি দলটাই জনগণের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।’মন্ত্রী বলেন, নিজেদের ওপর আস্থা নেই বলেই বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে, সেটা তারা জানে। যার কারণে বিএনপিকে নির্বাাচন-ভীতিতে পেয়ে বসেছে। সেজন্য 'ইভিএমেও না’ এবং 'ছাপানো ব্যালটেও না’ বলছেন তারা।'হাছান মাহমুদ আজ বিকেলে চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বিশেষ সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন । 'বিএনপি এতদিন ইভিএমের বিরোধিতা করেছে, এখন নির্বাচন কমিশন প্রিন্ট ব্যালটে ভোটের ঘোষণা দিয়েছে, সেটাতেও তাদের আগ্রহ নেই' এমন প্রশ্নে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন অনেকটা তাদের দাবি মেনে নিয়েই ইভিএম থেকে সরে প্রিন্ট ব্যালটে ভোট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এখানে তো বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দাবিটাই মেনে নেয়া হয়েছে বলে বলা যায়। সুতরাং এখন তারা নির্বাচনের জন্য যদি তাদের দল গোছায় এবং নির্বাচনে আসে, সেটি তাদের জন্যই মঙ্গল হবে।ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে আর পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। তারা দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে আর বিদেশীদের হাতে পায়ে ধরে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা যায় কি না সেই চেষ্টায় সর্বদা লিপ্ত। তবে এগুলো করে কোনো লাভ হবে না।'
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম এবং তালেবানসহ সবাইকে নিয়ে ঐক্য করে আসন পেয়েছিল মাত্র ছয়টি, পরে মহিলা আসনসহ সাতটি।' 'এই নির্বাচনেও তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই, সেটা তারা জানে বলেই নির্বাচন বা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর বিএনপি ও তাদের মিত্রদের কোন আস্থা নাই' মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বিশেষ সমাবর্তন: এর আগে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বিশেষ সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।তিনি বলেন, এটি দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার ১৪০ একর জমি বরাদ্দ করেছে। এটিই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন। এদেশে আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের কাছ থেকে এতো বেশি সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চট্টগ্রামে একটি মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছে আরও জমি বরাদ্দের আবেদনটি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে শুধু নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নই নয়, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নও হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা নারী শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষিতই নয়, স্বনির্ভর হয়ে সমাজে অবদান রাখার যোগ্যতা অর্জন করছেন।তথ্যমন্ত্রী তার নিজ শহর চট্টগ্রামে এই বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হওয়া বহু গ্র্যাজুয়েট সমাজ ও নারী অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে। মানসম্মত শিক্ষার ফলে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অনেক দিক দিয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বেশি যোগ্য।সমাবর্তনে সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ব্যাজেল এর প্রথম নারী রেক্টর অধ্যাপক আন্দ্রেয়া শেনকের-উইকিকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রুবানা হকের সভাপতিত্বে বিশেষ সমাবর্তনে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য কামাল আহমেদ, মানবিক অনুষদের ডিন ড. ডেভিড টেইলর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. নেহাল আহমেদ প্রমুখ।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।