• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৬:৫৭    ঢাকা সময়: ১৬:৫৭

অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করে আলো ছড়ালেন টাকার

স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই ফল অনেকটা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। সেখানে যোজন যোজন দুরত্বে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। বুধবার ২৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যেখানে ধুকছিল সফরকারীরা। ইনিংস ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ- এমনটাই ধারণা ছিল। কিন্তু ক্রিকেটের পরতে পরতে যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করে তা প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল। নবীন আইরিশরা ইনিংস ব্যবধানে তো হারেইনি, উল্টো লিড নিয়ে টেস্ট নিয়ে গেছে চতুর্থদিনে। তৃতীয় দিন ৬ এপ্রিল উইকেট ব্যাটিং সহায়ক বাংলাদেশি বোলারদের বেশ ভোগাচ্ছেন আইরিশ ব্যাটাররা। অভিসিক্ত টাকারের সেঞ্চুরিতে উল্টে লিড নিয়েছে সফরকারীরা। 
 
তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আইরিশ ব্যাটাররা। ৫ এপ্রিল ১৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল আয়ারল্যান্ড। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে দলকে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তুললেন লরকান টাকার। অভিষেক ম্যাচটা রাঙালেন শতরানে (১০৮)। ফিফটি পূর্ণ করেছেন হ্যারি ট্যাক্টর (৫৬)। এছাড়া ব্যক্তিগত ৭১ রানে অপরাজিত আছেন ম্যাকব্রেইন। তাদের লড়াকু ব্যাটে ভর করে একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে আইরিশদের সংগ্রহ ২৮৬ রান। লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩১ রান। 
 
আগের দিন শেষ বেলায় ১৭ ওভার বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন ৯০ ওভার বোলিং করে স্বাগতিকরা নিতে পেরেছে কেবল কেবল ৪ উইকেট! আগের দিন ২ উইকেট নেওয়া তাইজুল এদিন শিকার করেন আরও ২টি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পান যথাক্রমে এবাদত ও শরিফুল। ট্যাক্টর হাফ সেঞ্চুরি করে ফিরলেও আরেক প্রান্তে অবিচল আছেন টাকার। এই মিডল অর্ডার ব্যাটারও ব্যাক্তিগত হাঁফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। ষষ্ঠ উইকেটে অ্যান্ডু ম্যাকব্রাইনকে সঙ্গে নিয়ে আবারও বড় জুটির গড়ার চেষ্টা করছেন তিনি। এদিকে অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকানো টাকারকে অবশেষে ফেরালেন এবাদত হোসেন। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি, আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এমন কীর্তি দেখালেন লরকান টাকার। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। আইরিশ এই ব্যাটারের প্রতিরোধ ভাঙতে পারছিলেন না কেউই। অবশেষে স্বস্তি ফেরালেন এবাদত হোসেন। টাইগার গতিতারকার ওপর চড়াও হতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে শরিফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিলেন টাকার। ১৬২ বলে আইরিশ এই ব্যাটার তার ১০৮ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ১৪টি বাউন্ডারি আর এক ছক্কায়। লরকান টাকার আর অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের সপ্তম উইকেট জুটি ভাঙতে রীতিমত ঘামই ঝরেছে বাংলাদেশের। ১৭১ বল খেলে ১১১ রান যোগ করেন তারা।
 
অথচ জুটিটা ভাঙতে পারতো ৮৫ রানের মাথায়, আইরিশদের দলীয় সংগ্রহ তখন ২০৮। ইনিংসের ৭৮তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ পরাস্ত করেছিলেন ম্যাকব্রিনকে। ৩৪ রানে থাকা এই ব্যাটারের প্যাডে বল লাগলে আবেদনে আঙুলও তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু ম্যাকব্রিন সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তার প্যাডে লাগার আগে হালকা করে ব্যাটে স্পর্শ করে গেছে। বেঁচে যান ম্যাকব্রিন। দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান এবং তাইজুল ইসলামের মায়াবী ঘূর্ণিজালে জড়িয়ে দ্বিতীয় দিন বিকেলেই ১৩ রানে ৪টি উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ১৫৫ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পর দ্রুত ৪ উইকেট হারানোর কারণে আইরিশদের সামনে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কাই তৈরি হয়েছিলো সবচেয়ে বেশি। তবে এই পরিস্থিতি কিছুটা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা হ্যারি টেক্টর এবং জিম্বাবুয়ের হয়ে ৮ টেস্ট খেলে আসা পিটার মুর। দিনের শুরুতে বাংলাদেশের বোলারদের চাপ সামলে ভালোভাবেই দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন এই দু’জন। কিন্তু তাদের ৩৮ রানের জুটিকে বেশিদূর এগুতে দেননি শরিফুল ইসলাম। পিটার মুরকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। ৭৮ বলে ১৬ রান করে আউট হয়ে যান পিটার মুর। এরপর ৭২ রানের জুটি গড়েন হ্যারি টেক্টর এবং লরকান টাকার।
 
এই ম্যাচে আউট দিলেন আম্পায়ার, তবু ভাঙলো না আইরিশদের বড় জুটি। লরকান টাকার আর অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের সপ্তম উইকেট জুটি ভাঙতে ঘাম ঝরছে বাংলাদেশের। এরই মধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন টাকার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন ম্যাকব্রিন। জুটি শতরান পেরিয়েছে। অথচ জুটিটা ভাঙতে পারতো ৮৫ রানের মাথায়, আইরিশদের দলীয় সংগ্রহ তখন ২০৮। ইনিংসের ৭৮তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ পরাস্ত করেছিলেন ম্যাকব্রিনকে। ৩৪ রানে থাকা এই ব্যাটারের প্যাডে বল লাগলে আবেদনে আঙুলও তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু ম্যাকব্রিন সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তার প্যাডে লাগার আগে হালকা করে ব্যাটে স্পর্শ করে গেছে। ফলে জুটিটা ক্রমশও বড় হচ্ছে আইরিশদের।
দেশকণ্ঠ/রাসু
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।