• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১১:২১    ঢাকা সময়: ২১:২১

রোজা রেখে যেভাবে সতেজ থাকবেন

দেশকন্ঠ ডেস্ক : রমজানে সবগুলো রোজা রাখার জন্য সুস্থ থাকাটা জরুরি। কিন্তু এ মাসে সেহরি বা ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যাপারে সচেতন না হলে অথবা জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন না আনলে অসুস্থ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। রমজানের বরকতময় দিনগুলোতে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এ প্রতিবেদনে কিছু পরামর্শ দেয়া হলো।

* খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করুন, যা আপনাকে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাবে। এরপর এক গ্লাস পানি বা শরবত পান করুন। তারপর কুসুম গরম স্যূপ, সালাদ ও ইফতারের প্রধান আইটেমটি খেয়ে নিন। অবশ্য মনে রাখবেন যে পরিমিত ভোজন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।

* কুসুম গরম স্যূপ দিয়ে ইফতার শুরু করলে তা পেটের জন্য আরামদায়ক হতে পারে। স্যূপের তরলে শরীর পুনরুজ্জীবিত হয় এবং ইফতারের প্রধান আইটেম খাওয়ার জন্য পরিপাকতন্ত্র প্রস্তুত হয়।

* পবিত্র রমজান মাসে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে ভুলবেন না। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন।

* অত্যধিক মসলাদার বা লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং বেশি করে তাজা ফল ও শাকসবজি খান।

* অনেকে রমজান মাসে অলস হয়ে পড়ে। কিন্তু অতিরিক্ত ক্যালরি পোড়াতে আপনাকে সক্রিয় হতে হবে। প্রতিদিন হাঁটুন, বিশেষ করে ইফতারের পর কিছু সময় হাঁটুন। এ অভ্যাস খাবার হজমে সাহায্য করে।

* কিছু লোক রমজানে অতিভোজন করে থাকে, যা ওজন বাড়াতে পারে। ইফতারের সকল খাবার যেন স্বাস্থ্যকর হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। ভারী খাবার অথবা ইফতারের প্রধান আইটেম খাওয়ার আগে খেজুর ও হালকা খাবার বা স্যূপের মতো তরল জাতীয় খাবার খান। ইফতারের তালিকায় বেশি করে ফল ও শাকসবজি রাখুন। কৃত্রিম মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন সক্রিয় থাকুন। এসবকিছু আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

* রমজানে অবশ্যই সেহরিতে খাবার খাওয়া অত্যাবশ্যক। এ খাবার দিনে প্রাণশক্তি যোগায় এবং রোজাকে সহজ ও সহনীয় করে।

* দুধ জাতীয় খাবার অন্ত্রে খুব ধীরে ধীরে শোষিত হয়। সেহরিতে দুধ বা টক দই খেলে একটু একটু করে সারাদিন শক্তি পাওয়া যাবে।

* যেহেতু ভালো স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ প্রয়োজন, তাই রমজানে প্রচুর পরিমাণে তাজা ফল ও শাকসবজি খান এবং আপনার স্যূপে বিভিন্ন ধরনের সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন।

* নিম্ন রক্ত শর্করা মাত্রার কারণে যেসব লোকের মাথাব্যথা করে অথবা মাথা ঘোরে, তাদের ইফতারে ২-৩টি খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙা উচিত। কারণ খেজুর রক্ত শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে।

* ইফতারে ধীরে ধীরে স্যূপ ও সালাদ খেলে পেট ভরা অনুভূতি হবে, যার ফলে প্রধান ডিশ খাওয়ার সময় অতিভোজনের প্রবণতা রোধ হবে- যা আপনাকে স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

* রমজানে লোভনীয় সুস্বাদু মিষ্টান্ন খাওয়ার প্রবণতা দমন করা কঠিন। অত্যধিক ক্যালরি ভোজন কমাতে ঘরোয়া খাবারে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করুন এবং এখানেও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সংযম বা পরিমিতিবোধের পরিচয় দিতে হবে।

* মিষ্টি খাবার খেতে চাইলে ইফতারের ২-৩ ঘণ্টা পর পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন।

* খাবারের তালিকায় বৈচিত্র্যতা আনার চেষ্টা করুন। রমজানের নিয়মানুবর্তিতা মেনে পবিত্র এ মাসে ধূমপান ছেড়ে দিন।

* ভারসাম্যপূর্ণ পুষ্টির জন্য কেবলমাত্র ইফতারের খাবারের ওপর নির্ভর করবেন না। আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্যান্য হালকা খাবার খেতে পারেন, যেমন- কম চর্বির দই, স্যান্ডউইচ, কিছু শুষ্ক ফল ও বাদাম। সেহরিতে এক গ্লাস কম চর্বির দুধ, রুটি ও ডাল খেতে ভুলবেন না।

* রোজার সময় রাতে একটানা ঘুমটা পুরোপুরি সম্ভব না। সেক্ষেত্রে সারাদিনের ব্যস্ততায় পাওয়ার ন্যাপ দেয়ার অভ্যাস করুন। এতে অস্বস্তি দূর হবে।
তথ্যসূত্র: ইসলাম ২১সি
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।