মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দর্জি কারিগররা। নতুন অর্ডার আর নেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন উপজেলার টেইলার্স মালিকরা। ঈদকে সামনে রেখে এখন সেলাই মেশিনের শব্দে মুখর দর্জির দোকান গুলো। বাহারি ডিজাইনের কাপড় বানাতে সেখানে ভিড় করছেন অনেকেই। উপজেলার দর্জি কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই এখন। অবশ্য ব্যস্ততা শুরু হয়েছে রোজার শুরু থেকেই।
সরেজমিনে (১২এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারের দর্জি দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ছোট বড় প্রতিটি দোকানেই সেলাই কাজের প্রচুর কাজের চাপ। সামনে ঈদ তাই রুজি-রোজগারের একমাত্র সম্বলটি যেন এক মুহুর্তের জন্যও বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। চাহিদা মতো নতুন পোশাক পেয়ে ক্রেতারাও খুশি। পছন্দ মতো পোশাক বানাতে ক্রেতারা ছুটে যাচ্ছেন টেইলার্সগুলোতে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকা, নাগরী বাজার, উলুখোলা বাজার, বক্তারপুর মার্কেট, ফুলদী বাজার, আওড়াখালী বাজার, নরুন বাজার, দোলান বাজার, সাওরাইদ বাজার, নোয়াপাড়া বাজার,জামালপুর বাজারসহ বিভিন্ন টেইলার্সের কারিগরদের এক মুহূর্তের জন্য অবসর নেই। এছাড়া মহল্লার টেইলার্স গুলোতেও কাজ চলছে সমান তালে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী বাজারের এমদাদিয়া টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্সের সত্বাধিকারী মুস্তাকিম খান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ১১ জন কর্মচারী নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। শবে বরাতের পর থেকেই ক্রেতারা ঈদের পোশাকের অর্ডার দিচ্ছেন। ১০ রমজানের পর তাদের পক্ষে আর অর্ডার নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আল- আবরার পাঞ্জাবী টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স এর সত্বাধিকারী সালাউদ্দিন বলেন, পছন্দের পোশাকের জন্য রেডিমেড থ্রি-পিস ও থানকাপড় কিনে ক্রেতারা পাড়ি জমাচ্ছেন দর্জি দোকান গুলোতে। ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে গভীর রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রেখে কাজ করতে হচ্ছে।
বাজারে পোশাক নিতে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আর কিছুদিন পর আমাদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ছেলে মেয়েদের নতুন পোশাক নিতে বাজারে আসছি। কিন্তু পোশাকের যে দাম আমরা কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। আমরা যারা কম আয়ের মানুষ আছি তাদের জন্য খুবই কষ্টকর। পোশাকের দাম বাড়লেও আমাদের তো আর আয় বাড়েনি।
দেশকণ্ঠ/আসো