দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ফিফা থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। বাফুফের নির্বাহী কমিটির জরুরি সভা শেষে কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের জিএস ভুল করেছে। ফিফা তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তার ভুলের কারণে।' বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সাথে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীও। ফিফার রিপোর্টে বাফুফের আর্থিক অনেক অনিয়ম উঠে এসেছে। অনিয়ম হলেও এটি দুর্নীতি বলতে নারাজ ফেডারেশনের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি।
তিনিও সভাপতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, 'কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। কোনো একটা জিনিস ক্রয় করতে সে (সোহাগ) প্রোপারলি করেনি, তাই তদন্ত করেছে ফিফা। জালিয়াতি হলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি অর্থ একটা জায়গায় পাঠিয়েছেন কিন্তু এটা বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশনের নয়। ফিন্যান্স কমিটির কোনো সম্পর্ক নেই। সে যদি সঠিকভাবে করত তবে নিষিদ্ধ হতো না।’ দশ লাখ টাকার নিচে কেনাকাটায় কোটেশন আহ্বান এবং এর বেশি হলে টেন্ডারের মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত আগে থাকলেও এটি এখন আরও দৃঢ়ভাবে অনুসরণের সিদ্ধান্ত হয়। কেনাকাটায় অনিয়ম ও অসঙ্গতির জন্য আবু নাইম সোহাগসহ ফিফার চিঠি পেয়েছিলেন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন, ফিন্যান্স এক্সিকিউটিভ অনুপম সরকার ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
নিজে চিঠি পাওয়া প্রসঙ্গে সালাম বলেন, 'এএফসি, ফিফা থেকে নিয়মিত চিঠি আসে আমাদের কাছে। কিন্তু এই ব্যাপারটা হয়তো সেভাবে পড়েনি।’ সোহাগের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এই প্রসঙ্গে সালাম মুর্শেদী বলেন, 'আমাদের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কি কি হয়েছে সেটা দেখে, এর সঙ্গে আরও কেউ আছে কিনা সেটা দেখি। অবশ্যই, যদি প্রয়োজন হয় তবে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করবো না।’ ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির মাঠ ও মাঠের বাইরে অনেক ব্যর্থতা আছে। নিজ থেকে ফেডারেশন ছাড়ার ইচ্ছে আছে কিনা এই প্রসঙ্গে সালাম মুর্শেদীকে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
দেশকন্ঠ/অআ