দেশকন্ঠ ডেস্ক : তীব্র দাবদাহ চলছে দেশজুড়ে। গরমে কেউই স্বস্তিতে নেই। শুধু গরম লাগা বা তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ার কষ্ট নয়, এই তীব্র গরমে হতে পারে হিট স্ট্রোক বা এরকম নানা শারীরিক জটিলতা। তবে একটু চেষ্টা করলেই এই প্রচণ্ড গরমেও এসব জটিলতা এড়ানো সম্ভব। ‘হিট স্ট্রোক’ কথাটির মাধ্যমেই বোঝা যায় যে, তাপ থেকে স্ট্রোক হতে পারে। গরমে যেকোনো সময় যে কেউই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন।
হিট স্ট্রোককে চিকিৎসাবিজ্ঞানে মারাত্মক শারীরিক অবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। হিট স্ট্রোকের রোগীর দ্রুত চিকিৎসা না হলে মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড, কিডনি ও শরীরের নানা অঙ্গে তার প্রভাব পড়তে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির অঙ্গে অসাড়তা, কোমা, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ কী কী?
* শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়া, ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটও হয়ে যেতে পারে। এ সময় তেমন ঘাম হয় না।
* শরীরের ভারসাম্যে সমস্যা হতে পারে, কথা জড়িয়ে যেতে পারে, ব্যবহারে অসংলগ্নতা টের পাওয়া যায়।
* মাথা ঘোরা ও বমি হতে পারে।
* ত্বকের রং হঠাৎই লাল হয়ে যেতে পারে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে ত্বকের রংও লাল হয়ে যায়।
* শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হয়ে যায়, হৃদস্পন্দনও বেড়ে যেতে পারে।
* মাথায় প্রবল ব্যথা অনুভব হতে পারে।
* প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যেতে পারে।
* খিঁচুনি ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলা।
হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে দ্রুত যা করণীয়
বিশেষজ্ঞদের মতে, কারো মধ্যে হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত তাকে ছায়ার মধ্যে নিয়ে যেতে হবে। গায়ের অতিরিক্ত কাপড় খুলে ফেলে রোগীকে শীতল করার ব্যবস্থা করতে হবে। মোজা-জুতা খুলে ফেলতে হবে।
আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমাতে ঠাণ্ডা বা বরফ মিশ্রিত পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বিশেষ করে রোগীর বগল, কুঁচকি, ঘাড়সহ নানা স্থান ভেজা তোয়ালে দিয়ে বারবার মুছে দিতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে শুইয়ে দিয়ে পা একটু উঁচু বা মাথা একটু নিচের দিকে রাখাটা ভালো।
রোগীর জ্ঞান থাকলে পানি, ডাবের পানি, ফলের শরবত অথবা খাবার স্যালাইন পান করতে দিতে হবে। যদি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, তবে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া লাগবে। এ অবস্থায় ঘরে চিকিৎসা করার সুযোগ নেই।
প্রতিরোধে করণীয়
* সূর্যের রোদের সবচেয়ে প্রখরতার সময়টুকু এড়িয়ে চলুন, প্রয়োজনে সে সময় ছাতা নিয়ে বের হোন। কিংবা বড় কোনো হ্যাট ও সানগ্লাস রাখুন বাইরে বের হওয়ার সময়।
* শরীরে পানিশূন্যতা যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখুন। গরমে ও রোদে প্রচুর পরিমাণ পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন খান।
* দুপুরের প্রচণ্ড রোদে ভারী কাজ বা শারীরিক ব্যায়াম করবেন না।
* গরমে বাইরে বেরোলে সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পরুন।
* গরমের সময় চা, কফি, সিগারেট যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন, এগুলো শরীরে পানিশূন্যতা বাড়িয়ে দেয়।
* শরীর ঠান্ডা রাখে এমন খাবার খান।
তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন
দেশকন্ঠ/এ্রআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।