দেশকন্ঠ ডেস্ক : উৎসবের সাজ হওয়া চাই জমকালো। সেই জমকালো সাজে সুন্দর পোশাক পরিচ্ছদ, জুতার পাশাপাশি মানানসই কসমেটিকস ব্যবহার বাড়তি মাত্রা যোগ করে। তাই যশোরের ঈদ বাজারে ফ্যাশনপ্রেমীরা ছুটছেন কসমেটিকস কিনতে। সুন্দর সাজ সবার দৃষ্টি কাড়ে। তাই উৎসবে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন জরুরি হয়ে পড়ে। একে একে শেষ হতে চললো সিয়াম সাধনার মাস রমজান। ঈদ উৎসবের আর ৪দিন বাকি। অনেকেরই কেনাকাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবু শেষের দিকে থাকে আরও কিছু বাড়তি কেনাকাটা। তাই পোশাক আর জুতার সাথে মিলিয়ে প্রয়োজন হয় মানানসই মেকআপ, অলংকার, হেয়ারব্যান্ড, হেয়ারক্লিপ, মেহেদীসহ অন্যান্য নানা অনুষঙ্গ। যশোরের চুড়িপট্টি, এইচ.এস প্লাজা, সিটি প্লাজা, জেস টাওয়ারসহ বিভিন্ন মার্কেটে শুরু হয়েছে দেশি বিদেশী নানা ধরনের কসমেটিকস পণ্যর বেচাকেনা। প্রচন্ড গরমের দাবদাহ উপেক্ষা করেই অনেক ক্রেতা আসছেন তাদের পছন্দের পণ্য কিনতে।
কোথায় কেমন দাম
শহরের চুড়িপট্টিতে মেহেদী বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ১৫০টাকায়। পাঞ্চক্লিপ ১০ থেকে ১২০টাকা পর্যন্ত। লিপস্টিক ৫০ থেকে ২২০টাকা। নেলপলিস ৫০ থেকে ১২০টাকা। সিটি গোল্ড ও বিভিন্ন ধরনের মেটালের আংটি ৫০ থেকে ১৫০টাকা। কাঁচের রেশমি চুড়ি ৫০টাকা ডজন। চুড়ি ১০০ থেকে ২০০টাকা। মেটালের চুড়ি ১৮০ থেকে ২৫০টাকা। পায়েল ৬০ থেকে ১৩০টাকা। ব্রেসলেট ৮০ থেকে ২০০টাকা। মেকআপ ফাউন্ডেশন ২০০ থেকে ৫৫০টাকা। কমপ্যাক্ট পাউডার ২০০ থেকে ৩০০টাকা। এইচ. এস প্লাজায় কানের টব ২০ থেকে ৩০০টাকা। লম্বা দুল ৬০ থেকে ৬০০টাকা। হেয়ারব্যান্ড ৩০ থেকে ১৫০টাকা। ওভার ব্যান্ড ৩০ থেকে ৫০টাকা। গোল্ড প্লেটেড জুয়েলারি সেট ৩০০ থেকে ৩০০০টাকা। ক্লিপ ২০ থেকে ৪০টাকা। ডিজাইন রাবার ব্যান্ড ১০ থেকে ৪০টাকা। সিটি প্লাজায় পাঞ্চ ক্লিপ পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৩৫০টাকায়। ক্লিপ ৪০ থেকে ২০০টাকা। ডিজাইন রাবার ব্যান্ড ৫০ থেকে ১৩০টাকা। স্টোনের চুড়ি সেট ৪০০ থেকে ১০৫০টাকা। সিটি গোল্ডের চুড়ি সেট ১৫০ থেকে ৩০০টাকা। মেহেদী ৩০ থেকে ৫০টাকা। মেকআপ ফাউন্ডেশন ৩৫০ থেকে ১২০০টাকা। হাট বাজারে ফরাসী ব্রান্ড গারনিস লিপস্টিক পাওয়া যাচ্ছে ২১০ থেকে ৮৯০টাকায়। ন্যাকেড ৩৯০ থেকে ৬৭৫টাকা। ফাউন্ডেশন ১৫৭০ থেকে ১৮৭০টাকা। আইশ্যাডো ৬৩০ থেকে ৯৬০টাকা। জেস টাওয়ারে ইমিটিশনের আংটি পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০টাকায়। আইশ্যাডো ১৫ থেকে ৯০০টাকা। কমপ্যাক্ট পাউডার ১৫০ থেকে ৬৫০টাকা। পাঞ্চক্লিপ ৫০ থেকে ১৫০টাকা। লিপস্টিক ১০০ থেকে ৩৫০টাকা। মেকআপ ফাউন্ডেশন ৩০০ থেকে ৯০০টাকা।
যা বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতা
চুড়িপট্টির সৈনিক স্টোরের সত্ত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিক্রি ভালো চলছে। চাঁদরাত পর্যন্ত বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে আশা করছি। জেস টাওয়ারের ফালগুনী পার্লার কালেকশান এর সত্ত্বাধিকারী জহিনুল ইসলাম বলেন, বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি। মানুষের ইনকাম বাড়ছে না, খরচ বাড়ছে। যে কারনে কসমেটিকস কেনায় মানুষের আগ্রহ কম। সিটি প্লাজার স্টোন প্লাস স্টোরের বিক্রেতা ইয়াসিন আরাফাত বলেন, গতবারের চেয়ে এবারে আমাদের বিক্রি কম। চুড়িপট্টিতে কসমেটিকস কিনতে আসা তানজিলা আহমেদ বলেন, মেহেদী কিনতে এসেছি, সাথে হেয়ারক্লিপও কিনবো। আরেক ক্রেতা রুবাইয়াত শারমিন বলেন, পোশাক ও জুতার সাথে সাথে ঈদে কসমেটিকসও ভীষণ জরুরি, এজন্য কিনতে আসলাম। ক্রেতা মেহেরুন নাহার বলেন, আমি শুধু ঈদে নয়, সারাবছরই কমবেশি কসমেটিকস কিনতে আসি।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।