দেশকণ্ঠ ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পারমাণবিক শক্তি হিসেবে তাদের দেশের মর্যাদা ‘চূড়ান্ত’ এবং অপরিবর্তনীয়।’ তিনি শুক্রবার বলেছেন, কিম জং উনকে সম্পূর্ণরুপে পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করার জন্য জি-৭ এর আহ্বানের নিন্দা জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।
পিয়ংইয়ং চলতি মাসে দেশের প্রথম কঠিন জ্বালানী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী উৎক্ষেপণের আরেকটি রেকর্ড-ব্রেকিং স্ট্রিং পরিচালনা করেছে। এটি কিমের সামরিক বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত অগ্রগতি। সিউল, ওয়াশিংটন এবং জাতিসংঘ সকলেই পরীক্ষার সমালোচনা করেছে এবং এই সপ্তাহে জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পিয়ংইয়ংকে ‘সম্পূর্ণ, যাচাইযোগ্য এবং অপরিবর্তনীয় পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই ‘চরমভাবে হস্তক্ষেপবাদী’ বিবৃতির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, জি-৭ তার দেশের ‘সার্বভৌমত্বের বৈধ অনুশীলন’ ‘ক্ষতিকরভাবে টানাটানি করছে’। উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ‘কেসিএনএ’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,বিশ্ব-মানের পারমাণবিক শক্তি হিসেবে তাদের অবস্থান চূড়ান্ত এবং অপরিবর্তনীয়।’ চো বলেন, ‘মুষ্টিমেয় অহংকারী দেশের একটি বদ্ধ গ্রুপ জি-৭, ন্যায়বিচার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না, কিন্তু মার্কিন আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।’
কিম গত বছরের সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়াকে একটি ‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক শক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। একইসঙ্গে তার এই ঘোষণা কার্যকরভাবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার সম্ভাবনাকে শেষ করে দিয়েছিলেন। ওয়াশিংটন এবং সিউল প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে, উন্নত স্টিলথ জেট এবং উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন মার্কিন কৌশলগত সম্পদের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া এই ধরনের মহড়াকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে দেখে এবং আবার গত সপ্তাহে সেগুলোকে পিয়ংইয়ং-এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের অনুকরণে ‘উত্তেজক’ মহড়া হিসেবে বর্ণনা করে। চোয়ে শুক্রবার বলেছেন ‘এটা মনে করা যায় যে,পারমাণবিক হামলার অধিকার এবং সক্ষমতা ওয়াশিংটনের একচেটিয়ে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কখনোই কারো কাছ থেকে কোন স্বীকৃতি এবং অনুমোদন চাইবো না কারণ, মার্কিন পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালানোর শক্তি আমাদের আছে।’
দেশকণ্ঠ/আসো