দেশকন্ঠ ডেস্ক : অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলিউডের নোংরা রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন ঠিক এমনটাই দাবি করেছিলেন দিনকয়েক আগে। এরপর বীতশ্রদ্ধ হয়েই হলিউডে পাড়ি দেন অভেনেত্রী। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ সমর্থন করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত, বিবেক অগ্নিহোত্রী। ১০ বছর হলিউডে কাজ করে এখন সারা বিশ্বের কাছে নিজেকে প্রমাণ করেছেন অভিনেত্রী। বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন ‘সিটাডেল’ সিরিজের প্রচারে। তবে মন এখনো পড়ে আছে মুম্বাইয়ে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পুরোনো কর্মক্ষেত্র বলিউডের গুণগান গাইলেন প্রিয়াঙ্কা। তার কথায় শোনা গেল অন্য সুর। তিনি জানালেন, বলিউডে যে ধরনের বড় বড় কাজ করেছেন তিনি, হলিউডেও তেমনই কাজের প্রতীক্ষায় রয়েছেন।
প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘বলিউডে নানা বৈচিত্রপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। সেরা পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছি। হলিউডে এখনো তেমন সুযোগ পাইনি আমি।’ তার স্বপ্ন, হলিউডে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা এমন জায়গায় নিয়ে যাবেন তিনি, যাতে সেখানকার সেরা প্রতিভাদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। শ্রেষ্ঠ পরিচালকদের অধীনে অভিনয় করতে পারেন। প্রিয়ঙ্কার আশা, আগামী দশকে হলিউডে নিজেকে তিনি সেই উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন, যেমনটা বলিউডে পেরেছিলেন।
‘বরফি’ অভিনেত্রী আরো মনে করেন, ভারতে সেরা প্রতিভাদের সঙ্গে কাজ করে যে পরিচিতি, গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে তার, সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই তিনি এখন হলিউডে কাজ করতে পারছেন। বললেন, “বলিউডে অনেকেই আমায় ২০ বছর ধরে চেনেন। কিন্তু হলিউডে অনেকের কাছেই আমি এখনো নতুন মুখ। তাদের আমি দেখাতে চাই যে, আরো অনেক কিছু করতে পারি।’
কিছু দিন পরেই সিটাডেল সিরিজে দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কাকে। সঙ্গে রয়েছেন ‘গেম অফ থ্রোন্স’ খ্যাত তারকা রিচার্ড ম্যাডেন। অ্যাকশন ও রহস্য-রোমাঞ্চে ভরা আমেরিকান সায়েন্স-ফিকশন সিরিজ ‘সিটাডেল’। প্রযোজক রুশো ব্রাদার্স। তারা জানিয়েছেন, এই সিরিজের অনুপ্রেরণা জেমস বন্ড। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে স্ট্রিমিং শুরু হবে সিরিজটির। প্রিয়ঙ্কা অভিনীত রোম্যান্টিক ছবি ‘লাভ এগেন’ মুক্তি পাবে ১২ মে। তবে খুশির খবর, ফারহান আখতারের ছবি ‘জি লে জরা’ দিয়ে বলিউডে ফিরছেন প্রিয়ঙ্কা। তার সঙ্গে ছবিতে রয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ এবং আলিয়া ভাট।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।