দেশকন্ঠ ডেস্ক : পেশাদারিত্বের সীমানা পেরিয়ে কখনও কখনও কাজ হয়ে ওঠে ব্যক্তিজীবনের অংশ, আবেগ-অনুভূতির অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। চিত্রনায়িকা পরীমণির ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে ‘মা’ সিনেমায়। অরণ্য আনোয়ার নির্মিত এই ছবিতে তিনি মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আর ছবিটির শুটিংয়ের সময় বাস্তবেও ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। ফলে একদিকে চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে অন্তহীন আবেগ নিয়ে কাজটি করেছেন এই নায়িকা।
সম্প্রতি সেই সময়ের অভিজ্ঞতার টুকরো কিছু স্মৃতি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শেয়ার করলেন পরীমণি ও নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার। এতে দুজনেই জানালেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কতটা কঠিন পরিস্থিতি সামলে শুটিং করেছেন পরী। যখন পানি খেলেও তার বমি আসে, তখন তাকে বুভুক্ষুর মতো খাওয়ার দৃশ্যে কাজ করতে হয়েছিল!
সেই কঠিন সময় উতরে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুরো টিমের স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা ছিল বলে জানান পরী। তার ভাষ্য, ‘অনেক ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে কাজ করতে হয়েছিল। কখনও আমার মন খারাপ ছিল, টিমের অন্যরা আমাকে উৎসাহ দিয়েছে। আবার কখনও পুরো টিম চিন্তায় ছিল, তখন আমি সাপোর্ট দিয়ে বলেছি, পারবো।’
‘মা’ চরিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে প্রচলিত ট্যাবুও ভেঙেছেন পরীমণি। কেননা এমন বয়সে, নায়িকা হয়ে সাধারণত কেউ মায়ের ভূমিকায় ক্যামেরার সামনে আসতে চান না। এ বিষয়ে পরীর ব্যাখ্যা, “আমি ‘মা’ সিনেমাটি করব, এটা যখন খবরে আসে, তখন প্রথম যে শিরোনাম আমার চোখে পড়ে, সেটা ছিল- ট্যাবু ভাঙলেন পরীমণি। ক্যারিয়ারের এই সময়ে, এমন বয়সে মা চরিত্রে অভিনয় করার বিষয়টি সেখানে তুলে ধরা হয়। কিন্তু বয়স কিংবা ক্যারিয়ার বলতে কী বোঝায়, আমি আসলে সেভাবে খুঁজতে চাইনি, এখনও চাই না। একজন নায়িকা মায়ের চরিত্রে কাজ করতে পারবে না, এই ধারণায় আমার আপত্তি আছে।”
এই ছবিকে শুধু একটি কাজ হিসেবে নয়, বরং জীবনের বিশেষ একটি অংশ হিসেবেই মনে রাখতে চান পরীমণি। বললেন, ‘আমি জানি না, এই ছবিটা হিট হবে কিনা, দর্শক দেখবে কিনা, এই সংজ্ঞার মধ্যেই যেতে চাই না। কিন্তু আমার অভিনয় জীবনে, ব্যক্তিগত জীবনে, পুরো জার্নিতে এই অংশটা আমি ফ্রেমবন্দি করে রাখতে চাই। এবং আমি আমার রাজ্যকে এটা গিফট করতে চাই যে, তুমিও ছিলে আমার সাথে।’
অন্যদিকে নন্দিত নাট্যনির্মাতা অরণ্য আনোয়ারের এটি প্রথম সিনেমা। পরীমণিকে নিয়ে এটি নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই গল্পটি আমি ও আমার বন্ধু পুলক কান্তি বড়ুয়া নিজেদের মধ্যে লালন করছি দীর্ঘ সময়। এতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রটি হলো মায়ের। সিনেমা বানালেই তো হবে না, দরকার যোগ্য পাত্র-পাত্রী। আমি শুরু থেকেই বেশ সচেতন ছিলাম মায়ের চরিত্রটিকে ঘিরে। অবশেষে গল্পটি শোনালাম পরীকে। কিন্তু দ্বিধা ছিল, মায়ের চরিত্রে পর্দায় হাজির হবেন কিনা! কারণ, এসব বিষয়ে আমাদের নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে একটা ট্যাবু রয়েছে। কিন্তু গল্পটি শোনানোর পর পরী যেভাবে গ্রহণ করলেন, পুরো কাজটি শেষ করলেন; তাতে আমি বিস্মিত ও মুগ্ধ। যদিও অভিনেত্রী বা নায়িকা পরীমণির চাইতে ব্যক্তি পরীমণি আমার কাছে পূজনীয়। প্রচলিত অন্ধকারের বিরুদ্ধে তার অবস্থান আমাকে মুগ্ধ করে। আমি গর্বিত, সেই পরীর সাথেই শেষ করলাম আমার প্রথম সিনেমা।’
উল্লেখ্য, ‘মা’ ছবিতে পরীমণির সঙ্গে আরও রয়েছেন আজাদ আবুল কালাম, ফারজানা ছবি, সাজু খাদেম, রেবেনা করিম জুঁই, শিল্পী সরকার অপু, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। ছবিটি নির্মিত হয়েছে অরণ্যে পুলক (এপি)-এর ব্যানারে। মা দিবস উপলক্ষে আগামী ১৯ মে এটি মুক্তি পাবে দেশ ও বিদেশে।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।