দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় সে জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দেবেন। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে। ইতিমধ্যে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষা করেছেন। চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি ।
ডা. জাহিদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সপ্তমবারের মতো এ হাসপাতালে তিনি এসেছেন। এখানে আসার পরে তার কিছু পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বেগম খালেদা জিয়ার আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। যেগুলো বাসায় করা সম্ভব নয়। পরীক্ষা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। এরপর সব রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এবং তার শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হবে।
গত কিছুদিন ধরে খালেদা জিয়ার লিভার ও কিডনি জটিলতা রয়েছে উল্লেখ করে ডা. জাহিদ বলেন, উনার হার্টের জটিলতা ছিল। সর্বোপরি লিভার জটিলতার কারণে মেডিকেল বোর্ড তাকে বিদেশ যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু কেন তিনি যেতে পারছে না এটা আপনারা এবং দেশবাসীও জানেন। সত্যিকার অর্থে তার সঠিক চিকিৎসা, যেটা মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাডভানস সেন্টারে করা প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে যেহেতু চিকিৎসা করা যাচ্ছে না। কাজেই উনাকে এ অবস্থায় আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাহিদ বলেন, একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ এতগুলো অসুস্থতা নিয়েও বারবার বলার পরে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ না পেয়েও শারীরিকভাবে যতটুকু সুস্থ রয়েছেন এটা আল্লাহর রহমত ও মানুষের দোয়ার বরকতে। এত অসুস্থতা, এত প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি মানসিক শক্তি ধরে রেখেছেন। তার সুচিকিৎসার ব্যাপারে চিকিৎসারাও আশাবাদী, আমরাও আশাবাদী।
দেশকন্ঠ/অআ