• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৩:৫৭    ঢাকা সময়: ১৩:৫৭

এল নিনোর জন্য বিশ্বের প্রস্তুত হওয়া উচিত : জাতিসংঘ

দেশকণ্ঠ ডেস্ক : জাতিসংঘ বুধবার সতর্ক করেছে, এল নিনোর প্রভাবে আবহাওয়ার পরিস্থিতি আগামী মাসগুলোতে আরো বিবর্তিত হবে, যা উচ্চ বৈশ্বিক তাপমাত্রা এবং সম্ভবত নতুন তাপের রেকর্ড সৃষ্টি করবে৷ ‘বিশ্বকে এল নিনোর প্রভাব থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত করা উচিত’ এ কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান পেটেরি তালাস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন,  ‘এল নিনোর প্রভাব সম্ভবত বৈশ্বিক উত্তাপের রেকর্ড ভেঙ্গে একটি নতুন উচ্চতার দিকে নিয়ে যাবে।’
 
এল নিনো হচ্ছে সমুদ্রের উপরিভাগের জলের তাপমাত্রার গড় মানের সাথে তুলনামুলক নীরবচ্ছিন্ন পরিবর্তন। আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে, পূর্ব-কেন্দ্রীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় শান্ত সমুদ্রের পানির গড়পড়তা তাপমাত্রা যখন কমপক্ষে ০.৫°সেলসিয়াস (০.৯°ফারেনহাইট) হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে তখন। যখন এটি পাঁচ মাসের কম সময় ধরে সংঘটিত হয়, তখন এ্টি এল নিনো অথবা লা নিনোর শর্ত পূরণ করে, যদি এই ব্যতিক্রম পাঁচ মাস বা তারও অধিক সময় ধরে চলতে থাকে তখন এটিকে এল নিনো অথবা লা নিনো নামে অভিহিত করা হয়। সাধারণত এটি ২-৭ বছরের যে কোন সময়ে এবং ৯ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত চলতে পারে। এল নিনোর প্রথম লক্ষণগুলো হচ্ছে-
  • ভারত মহাসাগর, ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার উপরিভাগের জলের চাপের পরিবর্তন;
  • তাহিতি এবং বাকি মধ্য-পূর্ব শান্ত সমুদ্রের বায়ুচাপের হ্রাস;
  • বিষুবরেখা বরাবর বাণিজ্যিক বায়ু যখন উত্তর শান্ত সমুদ্রে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে অথবা পুর্বে চলতে থাকে;
  • পেরুতে গরম বাতাসের উদয় হয় এবং উত্তর পেরুভিয়ান মরুভূমিতে বৃষ্টির সূত্রপাত ঘটায় ও
  • দক্ষিণ এবং ভারতীয় সমুদ্র থেকে উত্তর শান্ত সমুদ্রে উষ্ণ জলের বিস্তার ঘটে। এটি বৃষ্টির জল সাথে নিয়ে চলে এবং দক্ষিণ শান্ত সমুদ্রে অনাবৃষ্টি আর সাধারণত শুষ্ক উত্তর শান্ত সমুদ্রে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
এল নিনোর উষ্ণ অপুষ্টিকর বিষুবীয় জলস্রোত ঠান্ডা পুষ্টিসমৃদ্ধ বিষুবীয় “হাবল্ট জলস্রোতের” সাথে অদল-বদল ঘটে। যখন এল নিনোর এসব অবস্থা সমুদ্রে কয়েক মাস যাবৎ বিরাজ করে, তখন অত্যধিক গরম সামুদ্রিক জলরাশি দেখা যায় এবং স্থানীয় মাছ ধরার ব্যবসার উপর বড় একটি প্রভাব দেখা দিতে পারে।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।