• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ২২:৩৮    ঢাকা সময়: ০৮:৩৮

ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে সতর্ক হতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক  : বাংলাদেশে কিছুদিন ধরে আবারও ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রভাব বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সবাইকে সজাগ হতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। রোববার (৭ মে) দুপুর ১২টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার কামড় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাসা বাড়ির ছাদ, আঙিনায় যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বজুড়ে টিকাদান সপ্তাহ পালিত হয়েছে। আমরা প্রতি বছর সাড়ে দুই কোটি শিশুকে টিকা দিয়ে থাকি, সব মিলিয়ে প্রায় ১০টিরও বেশি অসুখের টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রোগ্রামের জন্য ১ লাখ ২০ হাজার সেন্টার করে থাকি। এছাড়াও আমরা ১৫ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের টিকা দিয়ে থাকি। তাদেরও ১০ রকমের রোগের টিকা দেওয়া হয়।
 
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ টিকার প্রতি আগ্রহী, তারা খুবই আনন্দের সঙ্গে টিকা নেয়। আমাদের মায়েরা শিশুদের টিকা দিতে আগ্রহী। তারাই আমাদের টিকাদানে সফলতার পেছনের বড় কারণ হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাও বড় কারণ। এই কার্যক্রমে বিরাট একটা লজিস্টিক সাপোর্ট লাগে যা সরকার দেয়। টিকাদানের সময়ে অন্যান্য কাজকর্মও আমরা করে যাচ্ছি।
 
সফলতার তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৯৫ শতাংশ শিশু টিকার আওতায় এসেছে, যা ২০০১ সালেও ছিল ৫২ শতাংশ। আর নারীদের মধ্যে টিকার হার ৮০ শতাংশ। টিকায় আমাদের অনেক সফলতা আছে, সফলতার স্বীকৃতি পেয়েছি অনেক। বড় স্বীকৃতি হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। এই টিকার কারণেই আমরা এসডিজি অর্জন করেছি। টিকার কারণে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। টিকা এখানে বড় অবদান রেখেছে। আমাদের গড় আয়ু ৭৩, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়েও ৫০ ছিল।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় বিশ্বে ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে, ৭০ কোটি লোক আক্রান্ত হয়েছে। ৩৬ কোটি টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। টিকা দেওয়ার কারণেই আমাদের দেশে মৃত্যুহার কম ছিল।সভায় বক্তারা বলেন, বিভ্রান্তিকর তথ্য বা সেবা গ্রহণে বিভিন্ন বাঁধা বিশেষত কোভিড অতিমারীকালীন আমাদের নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থানের কারণে অনেকেই যথাসময়ে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত টিকাসমূহ গ্রহণ করতে পারেননি। ফলে টিকা বঞ্চিত ও টিকাপ্রাপ্ত সুরক্ষিত শিশুদের মধ্যে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার সুস্পষ্ট ব্যবধান তৈরি হয়েছে। যে কারণে বিশ্বজুড়ে এরই মধ্যেই পোলিও, ডিফথেরিয়া, যক্ষাসহ অন্যান্য টিকা দ্বারা প্রতিরোধযোগ্য রোগসমূহের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে শুরু করেছে, যা নিরসনে টিকা বঞ্চিত শিশুদের টিকা নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
 
তারা বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সরকারও দেশের সকল শিশু (০-১ বছর) ও সন্তানধারণক্ষম নারীদের (১৫-৪৯ বছর) টিকাদানে বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি তথা ইপিআই ১৯৭৯ সাল হতে শুরু করে অদ্যাবধি সুনামের সঙ্গে দেশে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে।
 
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০০টি স্থায়ী ও ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রের মাধ্যমে শিশু ও নারীদের সরকারিভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ১০টি মারাত্মক সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে জীবন রক্ষাকারী টিকাপ্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া আরও কয়েকটি টিকা অচিরেই নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে যুক্ত হতে চলেছে, যার মধ্যে এইচপিডি টিকা অন্যতম যার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের নারীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি হতে সুরক্ষা দিতে পারব।
 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. বরদান জুং রানাসহ আরও অনেকে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।