দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে দেশে গণতন্ত্র ফিরেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের সফলতা ও বিশ্বব্যাংকের মনোভাব উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন।’২০ মে শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এ সরকারের জনপ্রিয়তা আছে কি না তা দেখার জন্য আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাই আগামী নির্বাচনে আসার জন্য। ২০০৮ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পূর্ণ শক্তি নিয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমে ২৯টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে পালিয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নির্বাচনী ট্রেনে উঠে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আমি অনুরোধ করবো, আসুন এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে সফর করেছেন। যারা সফরে ছিলেন তারা দেখতে পেরেছে কিভাবে প্রধানমন্ত্রীকে জাপান সম্মান করেছে। তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ৩০ মিলিয়ন ইয়েন চুক্তি করেছে। যে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের অর্থায়ন প্রত্যাখ্যান করেছেন সে বিশ্বব্যাংক তাদের ভুল অনুধাবন করেছে। ছুটির দিনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য অনুষ্ঠান ডেকেছে। কারণ শনিবার ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কোনো সময় ছিল না। এ দিন শুধু প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশ্বব্যাংক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। তারা নতুন করে বাংলাদেশে অর্থায়ন করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। আর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, আপনি আমার আইডল। আমার স্ত্রী ও সন্তানরা আপনাকে আইডল মানেন।’
এ সময় বিএনপি নেতাদের চিকিৎসা করানোর কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেবরা যদি এগুলো শুনতে না পারেন তাহলে কানের ডাক্তার দেখান। যদি দেখতে না পারেন তাহলে চোখের ডাক্তার দেখান। আপনাদের যে চিকিৎসক সংগঠন ‘ড্যাব’ আছে তাদের থেকে চিকিৎসা নেন। তারা না পারলে আমাদের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কাছ থেকে চিকিৎসা নেন।’ ড. হাছান বলেন, ‘সোশ্যাল ইনডেক্স, হিউম্যান ইনডেক্স ও হেলথ ইনডেক্সে বাংলাদেশ ভারতকেও অতিক্রম করেছে। আমরা মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে ২০২১ সালে অতিক্রম করেছি। এ সাফল্যে ভারত ও পাকিস্তানের ‘টক শো’ গুলোতে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনার প্রশংসার ঝড় বয়ে গেছে। তাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশের টেলিভিশনগুলোতে সেভাবে শেখ হাসিনার প্রশংসা করা হয়নি। এটিই বাস্তবতা। মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে হবে। সেজন্য জাতির সাফল্য ও অর্জন গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। অবশ্য গণমাধ্যমে দায়িত্বশীলদের ভুল-ত্রুটি উঠে আসবে এবং সরকারের সমালোচনা হবে। যদি জাতির সাফল্য তুলে ধরা না হয়, তাহলে মানুষ আশাবাদী হবে না।’আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো বাংলাদেশ বদলে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ গ্রাম-শহরের মধ্যে ব্যবধান কমে গেছে। এখন গ্রামের ছেলে-মেয়ে ও শহরে ছেলে-মেয়ের মধ্যে পার্থক্য নেই। এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।’ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। এ জন্য ছাত্রলীগের কর্মীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য প্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ ও সক্রিয় থাকতে হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।