দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন ২১৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় অভিযুক্ত জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। আপাতত দুই লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে আছেন তিনি। তবে নিয়মমাফিক আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। তাকে ২৫ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। সুকেশ চন্দ্রশেখর সম্পর্কিত আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গত কয়েক মাস ধরেই চর্চায় জ্যাকলিন। কনম্যান সুকেশের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও কম বিতর্কে জড়াননি তিনি। জেল থেকে এখনও জ্যাকলিনকে লাভ লেটার লিখে চলেছেন সুকেশ। মঙ্গলবার (২৩ মে) অভিনেত্রীকে আইফা পুরস্কারে যোগ দিতে আবু ধাবি যাওয়ার অনুমতি দেন বিচারক শৈলেন্দ্র মালিক।
২৫ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকবেন জ্যাকলিন। এরপর সেখান থেকেই সোজা ইতালির মিলানে যাবেন। ২৮ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত শ্যুটিংয়ের কাজে মিলানে থাকতে হবে অভিনেত্রীকে। তার আবেদন মঞ্জুর করেছে কোর্ট। গত বছর অগস্ট মাসে ২১৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় দিল্লি হাইকোর্টে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই অতিরিক্ত চার্জশিটে জানানো হয়েছে, জেলবন্দি জালিয়াত সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে লাভবান হয়েছেন জ্যাকলিন। সুকেশের তোলাবাজির প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিনেত্রী। যার মধ্যে ৭ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি ইতোমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। জ্যাকলিনের পরিবারও সুকেশের থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছে, সুকেশ যে আদতে তোলাবাজ তা ভালোভাবেই জানতেন নায়িকা।
আদালতের নির্দেশে জ্যাকলিনের বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তবে আদালতের অনুমতি নিয়ে মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যোগ দেন অভিনেত্রী। লস অ্যাঞ্জেলস ইটালিয়াতে ‘টেল ইট লাইক উওম্যান’ ছবির জন্য পুরস্কৃতও হন এই শ্রীলঙ্কান সুন্দরী। দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক উইংসের তরফে দায়ের এফআইআরের ভিত্তিতে সুকেশ চন্দ্রশেখর মামলার তদন্ত শুরু করেন ইডি। সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে একাধিক ব্যক্তির থেকে টাকা হাতিয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন সুকেশ ও তার স্ত্রী লীনা মারিয়া পল। তারপর থেকেই জেলবন্দি সুকেশ। গ্রেপ্তারের পর সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিন ফার্নান্দিজের ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ্যে আসে। তদন্তকারীদের সুকেশ জানান, অভিনেত্রীকে ৫.৭১ কোটি টাকার উপহার দিয়েছেন তিনি। এমনকি অভিনেত্রীর পরিবারের লোকজনকেও কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন। জ্যাকলিনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার কথা নিজের মুখেই জানিয়েছেন সুকেশ। ইডির কাছে জবানবন্দিতে জ্যাকলিনও জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে তার সঙ্গে আলাপ হয় সুকেশের। তবে সুকেশ গ্রেপ্তার হলে জ্যাকলিন আর কোনও যোগাযোগ রাখেননি।
দেশকন্ঠ/অআ