দেশকন্ঠ ডেস্ক : বর্তমানে সাফল্যের সপ্তম স্বর্গে রয়েছেন অভিনেত্রী সানি লিওনি। বলিডের খ্যাতিমান নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপের ‘কেনেডি’ সিনেমাতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রিমিয়ারেও অংশ নিয়েছিলেন। সানি এবং রাহুল ভাটের সঙ্গে রেড কার্পেটে হাঁটার আগে অনুরাগ কাশ্যপ মিডিয়াকে জানান, কেন তিনি ‘কেনেডি’ চার্লি চরিত্রের জন্য সানিকে বেছে নিয়েছিলেন। ‘কেনেডি’তে সানির চরিত্র সম্পর্কে খুব বেশি কিছু প্রকাশ করা হয়নি, তবে টিজারে অভিনেত্রীর একটি ছোট্ট ঝলক রয়েছে। লিফটে উঠার পর তাকে হাসিতে ফেটে পড়তে দেখা যায়।
এই সিনেমাতে অনিদ্রা রোগে ভোগা একজন প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তার গল্প উঠে এসেছে। যিনি দুনিয়ার চোখে বহুদিন আগেই মৃত, তবে দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে অগোচরেই লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। সেই চরিত্রেই রয়েছেন রাহুল ভাট।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সানি সম্পর্কে অনুরাগ কাশ্যপ ফিল্ম কম্প্যানিয়নকে বলেন, ‘আমি শপথ করে বলছি আমি কখনও তার কোনো সিনেমা দেখিনি। আমি ওর সাক্ষাৎকার দেখেছি। ওর চোখে মুখে একটা বিষন্ন ভাব রয়েছে, অতীত জীবন রয়েছে। আমার ৪০-এর উপরের একজন নারীর দরকার ছিল।
‘যাকে নিয়ে তার চারপাশের পুরুষরা যৌন চিন্তাভাবনা করে, ৫০-৬০ বছরের পুরুষরা। আমার যৌন অভিনয় দেখার দরকার ছিল না। আমার দেখতে হত এমন একজন, যে সত্যিকারের জীবনে এরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যায়। সানির মধ্যে, আমি এমন একজন নারীকে পেয়েছি যে এই সমস্ত জিনিসগুলোকে অতিক্রম করে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সানিকে বাজারে কী পরিমাণ অর্থ দেয়া হয় আমি জানি। আমি ওকে বলেছিলাম এটা ওই ধরনের ছবি না। আমি এতটা পারব না। তিনি খুশি হয়ে জবাব দিয়েছিলেন, তুমি যে আমার কথা ভেবেছ এটাতেই আমি অভিভূত, আমি কাজটা করব। কঠিন পরিশ্রম করেছেন তিনি কাজটার জন্য। আর সেটা সিনেমায় ফুটেও উঠেছে।’ বৃহস্পতিবার রাতে কান চলচ্চিত্র উৎসবের মিডনাইট স্ক্রিনিং বিভাগে প্রদর্শিত হয়েছে ‘কেনেডি’। সিনেমা শেষ হতেই পুরো হলের অতিথি-দর্শকরা দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানায় ‘কেনেডি’ টিমকে। আর এই ভালোবাসা-প্রশংসা দেখে আবেগে কেঁদে ফেলেন সানি। একসময় সানির পরিচিতি ছিল ‘পর্নস্টার’ হিসেবে। তবে নীল সিনেমার দুনিয়া ছেড়ে ২০১২ সালে ‘জিসম টু’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বলিউডে পা রাখেন তিনি।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।