• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৬:২৯    ঢাকা সময়: ০২:২৯

সুষ্ঠু নির্বাচন থাকলে ভিসা নীতি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ‌যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে থাকবে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকায় এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দ্য আর্টসে (ইএমকে সেন্টার) যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর শীর্ষক এক বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন। পিটার হাস বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের মানুষ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে সহযোগিতা করতে এ ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রেরও চাওয়া একই। আর সেটি হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি পরিষ্কার করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্যরা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পরিষ্কার করেছেন। বাংলাদেশে এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাংলাদেশি যাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে, তারাও একই মত প্রকাশ করেছেন।
 
নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আস্থা থাকলে কেন ভিসানীতি প্রকাশ করতে হলো, জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, তা হলো এ ঘোষণা বাংলাদেশের মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে সহযোগিতা করার জন্য। সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার নীতি ব্যবহার করেছে। ভিসানীতি সাধারণ মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হবে কি না, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে এ ভিসানীতি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর ব্যবহার করা হবে। যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে থাকবে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এর আগে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীর বর্ধিত উদযাপনের অংশ হিসেবে ৫০টি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র নিয়ে এ প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়েছে। 
 
আলোকচিত্র প্রদর্শনী শেষে দেওয়া বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সমর্থন না করায় যুক্তরাষ্ট্ররে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতাকামী জনগণ আমাদের সমর্থন দিয়েছে। যদিও সেসময় মার্কিন সরকারের অন্য অগ্রাধিকার ছিল। তৎকালীন ঢাকার মার্কিন কনস্যুল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড এবং তার সহকর্মীদের সাহসী সিদ্ধান্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই যে, তারা মার্কিন সরকারের নীতির প্রতি সেসময় ভিন্নমত জানিয়ে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীর আশ্রয় পাওয়ার বিষয়টি অনুশোচনার বলে মন্তব্য করেন শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, একজন খুনি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে আশ্রয় পেয়ে আছে, বিষয়টি সত্যি অনুশোচনার। আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি ছয়টি স্বতন্ত্র বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ‘স্বাধীনতাপূর্ব যোগাযোগ’ বিভাগে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতারও আগে বাংলাদেশি ও মার্কিনিদের তথা শুরুর দিকের অভিবাসী, শিল্পী, পণ্ডিত, স্থপতি, ডাক্তার ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার আদি বীজ নিহিত আছে। 
 
‘দাপ্তরিক সফর’ বিভাগে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের দ্বিপাক্ষিক সফর ও বৈঠকের ছবি দেখানো হয়েছে। ‘সহায়তা ও অবকাঠামো’ বিভাগে বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে। ‘ব্যবসা-বাণিজ্য’ বিভাগে গতিময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের বিষয়গুলো উঠে এসেছে। ‘শিক্ষা ও বিজ্ঞান’ বিভাগটিতে দেখা যায়, বাংলাদেশি, মার্কিন বিজ্ঞানী ও পণ্ডিতরা গত কয়েক দশক ধরে অনেক ধরনের গবেষণা প্রকল্পে কীভাবে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করেছেন। সংস্কৃতি ও প্রবাসী সম্প্রদায়’ বিভাগটিতে উভয় দেশ অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির মাধ্যমে কীভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে সে বিষয়গুলো উঠে এসেছে। ইএমকে সেন্টারে প্রদর্শনীটি আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।