দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কয়লা সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। ফলে লোডশেডিং বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তবে কিছুদিনের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকলেও দেশে লোডশেডিং মিনিমাম পর্যায়ে থাকবে বলে জানান পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের একটি গেল ২৫ মে বন্ধ করা হয়। ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বাকি আরেকটি ইউনিট চলবে ২ জুন পর্যন্ত। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে ১১ থেকে ১২ হাজার টনের বেশি কয়লা প্রয়োজন হয়। আর কয়লা না থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম এ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি। তবে কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন করে কয়লা আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকার যৌথভাবে ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। দুই একদিনের মধ্যেই এলসি ওপেন করা হবে। জুনের শেষে কয়লা এলে আবার পুরোপুরিভাবে চালু করা হবে বিদুৎ কেন্দ্রটি।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এতে নতুন করে কয়লা সরবরাহ করতে পারবেন তারা। দুই এক দিনের মধ্যেই এলসি ওপেন করা হবে। তবে এলসি ওপেন করার পরও কয়লা আসতে অন্তত ২৫ দিন সময় লাগবে। এ সময় বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে যথেষ্ট জেনারেশন করার মত পাওয়ার স্টেশন রিজার্ভ আছে। সেখান থেকে অন্য কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে করে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকলেও দেশের লোডশেডিং মিনিমাম পর্যায়ে থাকবে। চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয়। কেন্দ্রটি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দেয় চীনা অংশীদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি)। এপ্রিল মাস পর্যন্ত বকেয়া বিল দাঁড়ায় প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন ডলার। এ বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে। তিন বছর আগে উৎপাদনে আসার পর এই প্রথম পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে। তবে এর আগে ডলার সংকটে কয়লা না কিনতে পারায় রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রও দুই দফা বন্ধ হয়েছিল।
দেশকন্ঠ/অআ