দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ভয়াবহ হামলায় উগান্ডার ৫৪ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতরা সেখানে শান্তিরক্ষী হিসেবে সেখানে কাজ করছিলেন। গত সপ্তাহে দেশটির একটি সামরিক ঘাঁটিতে জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাবের হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। উগান্ডার প্রেসিডেন্টের বরাত দিয়ে রোববার (৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সোমালিয়ায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাবের হামলায় উগান্ডার ৫৪ জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন বলে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি মুসেভেনি শনিবার জানিয়েছেন।
মুসেভেনি বলেছেন, ওই ঘটনার পর ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারালেও উগান্ডা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (ইউপিডিএফ) ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটির কাছ থেকে ঘাঁটিটি পুনরুদ্ধার করেছে। প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি মুসেভেনি বলেন, ‘আমাদের সৈন্যরা অসাধারণ সহনশীলতা প্রদর্শন করেছে এবং নিজেদের পুনর্গঠিত করেছে। যার ফলে মঙ্গলবারের মধ্যে সামরিক ঘাঁটিটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।’ রয়টার্স বলছে, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু থেকে ১৩০ কিলোমিটার (৮০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বুলামারে গত শুক্রবার ভোরে আল শাবাব যোদ্ধারা ওই সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। মুসেভেনি গত সপ্তাহে বলেছিলেন, উগান্ডার সৈন্যদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়ন ট্রানজিশন মিশনে (এটিএমআইএস) কর্মরত উগান্ডান সৈন্যদের ওপর হামলার বিষয়ে বিশদ কোনও বিবরণ সেসময় দেননি তিনি।
অন্যদিকে জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাব বলেছে, তারা ওই সামরিক ঘাঁটিতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে এবং ১৩৭ জন সৈন্যকে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীটি সোমালিয়ার পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৬ সাল থেকে লড়াই করে চলেছে। আর এই কারণে আল-শাবাবের সদস্যরা প্রায়ই দেশটির সামরিক ঘাঁটি, হোটেল ও ব্যস্ত সড়কে বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বোমা ও বন্দুক হামলা চালিয়ে থাকে।
দেশকন্ঠ/অআ