• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৩:৫৩    ঢাকা সময়: ১৩:৫৩

আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের আনন্দময় বনভোজন উদযাপিত

দেশকণ্ঠ ডেস্ক : নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের বেলমন্ট লেক স্টেট অনুষ্ঠিত হলো আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের বার্ষিক বনভোজন। ৩ জুন, শনিবার ক্লাব সদস্যরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জড় হতে শুরু করে পার্কের ব্রিচ প্যাভিলনে। চমৎকার আবহাওয়া, নৈসর্গিক দৃশ্যে বেলা বাড়তেই তৈরী হয় এক মিলন মেলার।
 
ক্লাবের বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক’র সার্বিক সহযোগিতায় এবং বনভোজন আহ্বাবায়ক কমিটির তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই বনভোজন আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি করে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক তাপস সাহা ও সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান পাহলিবি এবং কমিটির সদস্যবৃন্দ সীমা সুস্মিতা, মশিউর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, পাপিয়া বেগম, রোকেয়া দীপা ও রিম্মি রোমানে স্বতস্ফূর্ত ও আন্তরিক আতেথিয়তায় সকলের ছিল মুগ্ধ।
 
 
ক্লাবের সাবেক সভাপতি দর্পণ করিব ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক  রচি, বর্তমান কার্যকরী কমিটির সাথে হাত হাত মিলিয়ে কাজ করেন।  দিনভর নানা আয়োজনে মেতে উঠে আগত সকলেই। পুরো বনভোজনই ছিল বিভিন্ন ইভেন্টে ভরপুর।  আগতদের সৌজন্যে শুরুতেই হালকা নাস্তার পাশাপশি, ছিল তরমুজ, বিভিন্ন রকমের ড্রিক্স, শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরলেন চকলেট-চিপসসহ নানা ধরণের হালকা খাবারের ব্যবস্থা। সেই সাথেই খেলাধুলা পর্বে প্রথমেই ছিল ৫-৯ বছরের শিশুদের জন্য দৌড় প্রতিযোগিতা, এতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে, ঝর্ণ, ববি ও তন্ময়। সকল বিজয়ীদের জন্যই ছিল আকর্ষণীয় উপহারের ব্যবস্থা। এর পর অনুষ্ঠিত হয় ১২-২৩ বছর বয়সী কিশোর ও যুবকদের পেনাল্টি কিক প্রতিযোগিতা যাতে প্রথম স্থান অধিকার করেন আকিব মাহামুদ উৎস, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মোহাম্মদ ছামি এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন আবির মাহমুদ দিপ্ত। তার পর ছিল বড়দের পেনাল্টি কিক, যার মধ্যে ৬জন বিজয়ী হওয়ায় এক মজার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যাতে আগত অতিথিদের অনেকেই অংশগ্রহণ করেছেন।
 
এর পর মহিলাদের জন্য ছিল মিউজিক্যাল পিলো পাস গেম্স। অংশগ্রহণকারীসহ সকলেওই এই আনন্দমুখর ইভেন্টটি উপভোগ করে। এতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে সীমা সুস্মিতা, পাপিয়া বেগম ও রোকসানা রহমান। এরই মধ্যে আয়োজন করা হয় দুপুরের খাবারের। নিউইয়র্কে ঐতিহ্যবাহী খলিল বিরিয়ানী থেকে আসে দুপুরের খাবার। খলিল বিরিয়ানীর খলিলুর রহমানও এই বনভোজনে ক্ষণিকের জন্য হলেও অংশ্রগ্রণ করে। খাবার মেনুতে ছিল, সাদা ভাত, পলাউ, মুরগীর রোস্ট, গরুর রেজালা, টিকা, লাউ-চিংড়ী, মাছের দোপেয়াজু, ডেজার্ট ও সালাদ। সারিবদ্ধভাবে সকলে দুপুরের খাবার গ্রহণ করে, ছিল ঠান্ডা পানিসহ হরেও রকমের সপ্ট ড্রিংকের ব্যবস্থাও। খাবারের পর শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান, সঙ্গীত পরিবেশন করেন, শাহ মাহবুব, কৃষ্ণা তিথি ও মরিয়ম মারীয়া। এর পর বিভিন্ন ইভেন্ট বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। 
 
 
অন্যসব দিনের মতো এদিনের সকাল শুরু হলেও সংগঠনটির সদস্যদের কাছে ছিলো একটু অন্যরকম। সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় বনভোজনের প্রস্তুতি। নিজেদের পছন্দমতো পোষাক পরে বনোভোজনের স্থানে জমায়েত হতে থাকেন গণমাধ্যম কর্মীরা। তাদের সাথে উৎসবে সামিল হন তাদের স্ত্রী-সন্তানরা।
 
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেলমন্ট লেক স্টেট পার্ক সরগম হয়ে ওঠে সাংবাদিকদের আনাগোনায়। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে একে অন্যের সাথে আলাপচারিতায় মেতে উঠেন সবাই। গণমাধ্যমকর্মীরা যেমন একে অপরের সাথে আড্ডায় মেতে উঠেন তাদের স্ত্রী-সন্তানরাও একে অন্যের সাথে সখ্যতা গড়তে ব্যস্ত সময় পার করেন। এদিন বনভোজনে বিভিন্ন ধরণের ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ছিলো শুভেচ্ছা বিনিময়, আড্ডা, শিশু-কিশোর-কিশোরী, মহিলা ও পুরুষদের নানা খেলাধুলাসহ কুইজ প্রতিযোগীতা। সেই সাথে ছিলো তরমুজ খাওয়া, মধ্যাহ্ন ভোজ, বিকেলে চা-চক্র ও ঝালমুড়ি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিলো র‌্যাফেল ড্র আর সঙ্গীতানুষ্ঠান।
 
 
দুপুরে বনভোজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সাপ্তাহিক আজকাল পত্রিকার সম্পাদক শাহ নেওয়াজ। সার্বিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ সাঈদ এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনজুরুল হক। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি দর্পণ কবীর, বারি হোমকেয়ারের সিইও আসেফ বারি টুটুল, এ্যাপেলো বোকারেজ এর সিইও শমসের চৌধুরী, খলিল বিরিয়ানি গ্রুপের সিইও খলিলুর রহমান, নিউইয়র্ক প্রেসক্লারেব সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, সাংবাদিক আমনউদ্দৌলা, মুক্তচিন্তা সম্পাদক ফরিদ আলম, ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান রচি, স্টার ফার্নিচারের সিইও রকি আলিয়ান, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট ও রাজনীতিবিদ মোতাহার হোসেন, গোলাম এন হায়দার মুকুট, আবদুর রশিদ বাবু, এসেনসিয়াল হোমকেয়ার কর্মকর্তা আরিফুল হাসান, মেজবা উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, ক্লাবের কোষাদক্ষ মশিউর রহমান মজুমদার, লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, শিক্ষিকা সালমা ফেরদৌস, মোস্তফা অনিক রাজ, ক্লাব সদস্য বেলাল আহমেদ, তোফাজ্জল লিটন, আব বকর সিদ্দিক, কন্ঠ শিল্পী রানো নেওয়াজ, ফটো সাংবাদিক তুষার আহমেদ, আমজাদ হোসেন । এরপর শুরু হয় একে একে ঝমকালো সব অনুষ্ঠান।
 
 
মধ্যহ্ন ভোজের আগে ও পরে আয়োজন ছিল খেলাধুলার। শিশু-কিশোর-কিশোরীদের দৌড়, তরুণদের জন্য বাংলাদেশকে নিয়ে লিখিত কুইজ প্রতিযোগীতা, মহিলাদের মিউজিক্যাল পিলো পাসিং, পুরুষদের ফুটবলে পেনাল্টি গোল খেলা। পড়ন্ত বিকেলে শুরু হয় নিউইয়র্কের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব, কৃষ্ণা তিথি ও মরিয়ম মারিয়ার একক ও যৌথ পরিবেশনা। শিল্পীদের সাথে সবাই নেচে গেয়ে এবং গানের কন্ঠে গলা মিলিয়ে এক অনন্য উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সবশেষে ক্লাব কর্মকর্তারা ও আগত অতিথিরা বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। বিজয়ীদের মধ্যে মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন, সানমান গ্লোবালের সিইও মাসুদ রানা তপন, লায়ন্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান জিলানী, ক্লাব সদস্য সীমা সুষ্মিতা, পাপিয়া বেগম, সরোয়ার হোসেন, স্যামুয়েল স্টিফেন পিনারু। 
 
বনভোজন কমিটির আহ্বায়ক তাপস সাহা ও সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান পহলভি অনুষ্ঠানের সামগ্রিক তদারকি ও বিভিন্ন প্রকার খেলাধুলা পরিচালনা করেন। তারা বলেন, বনভোজনে নিউইয়র্কে কর্মরত সাংবাদিক, সমাজসেবক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। আমরা চেষ্টা করেছি সবাইকে একটি উৎসবমুখর দিন উপহার দিতে। আমরা আশা করি সেটা পেরেছি, ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে। বনভোজনে স্পন্সর হিসাবে সহযোগিতা করেন মার্কস হোমকেয়ার, কুইন্স এডাল্ট ডে কেয়ার, এসেনসিয়াল হোম কেয়ার, গ্লোল্ডেন এইজ হোমকেয়ার, ইমিগ্রান্ট এল্ডার হোম কেয়ার, বারি হোম কেয়ার, স্টার ফার্নিচার, এ্যাপেলো ব্রোকারেজসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।