দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া বলেই জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে ব্যাটিংয়ে বাজে শুরুতে শঙ্কা জেগেছিল। শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর অবশ্য মুর্শিদা খাতুনের দারুণ এক ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ নারী দল। ৬ উইকেটে ১৪৮ রানের সংগ্রহটা খুব বড় না হলেও বোলারদের কল্যাণে শেষ পর্যন্ত সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপে মালয়েশিয়াকে ৯৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। জুনিয়র টাইগ্রেসদের ১৪৮ রানের জবাবে মালয়েশিয়া থেমেছে ৮ উইকেটে ৫১ রানে। হংকংয়ের মং ককে আজ (১২ জুন) উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লতা মন্ডল। শুরুতে অবশ্য নড়বড়ে ছিল টাইগ্রেস ব্যাটাররা। মালয়েশিয়া নারীদের তোপে ৫২ রানেই হারায় ৪ উইকেট। সেখান থেকে স্বর্না আক্তার ও মুর্শিদার ৩৬ রানের জুটি। ১৪ বলে ২০ রান করে স্বর্না আউট হলে ভাঙে জুটি। দ্রুত ফিরেছেন নাহিদা আক্তার (৩)।
৯১ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে শেষদিকে পথ দেখান মুর্শিদা-রাবেয়া খান। দুজনে অবিচ্ছেদ্য ছিলেন ৫৭ রানের জুটিতে। যেখানে রাবেয়ার অবদান ১৪ বলে অপরাজিত ১৫। মুর্শিদা ফিফটি তুলে অপরাজিত ছিলেন ৫৭ রানে। ৪৪ বলে ৭ চারে ইনিংসটি সাজান এই বাঁহাতি ব্যাটার। মালয়েশিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি করে উইকেট নেন মাহিরাহ ইজাতি ইসমাইল, আয়েশা এলিসা ও নুর দানিয়া। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দাঁড়াতেই পারেনি মালয়েশিয়া ব্যাটাররা। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই ওপেনার ওয়ান জুলিয়াকে ফেরান পেসার মারুফা আক্তার। ব্যাট হাতে শেষদিকে লড়াই করা রাবেয়া খান বল হাতে তুলে নেন আরেক ওপেনার ইয়াসরিনা ইয়াকপকে (৫)। ১১ রানে ২ উইকেট হারানো মালয়েশিয়া আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগই পায়নি।
অলআউট না হলেও ২০ ওভার খেলে করতে পারেনি ৮ উইকেটে ৫১ রানের বেশি। দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল তিনজন ব্যাটার। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩ রান আইনা হামিজা হাশিমের। সমান ১১ রান করেন ক্রিস্টিনা ব্যারেট ও মাস এলিসা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেওয়ার পথে লেগ স্পিনার রাবেয়ার খরচ ৩ ওভারে ৭ রান। একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন মারুফা, সানজিদা, নাহিদা ও সুলতা। ১৪ জুন একই ভেন্যুতে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ১৬ জুন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত।
দেশকন্ঠ/অআ