• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৪:২৭    ঢাকা সময়: ০০:২৭

বিএনপি আবারও ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্ন দেখছে : ওবায়দুল কাদের

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক : বিএনপি বিদেশিদের প্রভাবিত করে আবারও ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন আবারও বিদেশি শক্তিকে দিয়ে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির স্বপ্ন দেখছে। ওয়ান ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখে আর লাভ নেই।’ওবায়দুল কাদের  মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিদেশি শক্তিকে দিয়ে দুই বছরের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসানোর পরিকল্পনা করছে। বিএনপি এখনো মনে মনে মন কলা খাচ্ছে। নিজের দলের ফখরুদ্দীন, মঈনুদ্দিনকে বসাবে। আমরা বেঁচে থাকতে সেটা আর হবে না।  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগের সময় কবে শেষ হবে তার দিন তারিখ বিএনপির কাছে জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন, শেখ হাসিনার সময় শেষ, আওয়ামী লীগের সময় শেষ। সময়টা কবে শেষ হবে দিন তারিখ বলুন। ১৪ বছর ধরে দেখছি, সময় তো শেষ হয়নি। এখন আবার বলছেন সময় শেষ। দেখতে দেখতে ১৪ বছর। দিন তারিখ ঠিক করে প্রেস কনফারেন্স করেন। আমরা যাতে এক গোছা গোলাপ, রজনীগন্ধা নিয়ে হাজির হতে পারি।তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা এই বলেন, রোজার ঈদের পর, কোরবানির ঈদের পর, তারপর বলে বর্ষার পর, পরীক্ষার পর। এই বছর না ওই বছর? আন্দোলন হবে কোন বছর? দেখতে দেখতে ১৪ বছর। মানুষ বাঁচে কয় বছর? সময়টা বলেন। যেন আমরা সময় মতো আপনাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা যখন বিদেশে সম্মানিত হন, বাংলাদেশের মানুষ খুশি হয়। কষ্ট পায় বিএনপি। তাদের কলিজা শুকিয়ে যায়। শেখ হাসিনা সম্মান আনছে দেশের জন্য, এটা যখন দেখে তখন তাদের মুখের দিকে তাকানো যায় না।

নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। যারা বাধা দেয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি তাদের বাধা দেয় কিনা, আমরা তা দেখতে চাই। গাজীপুর, খুলনা, বরিশালের মতো সামনের সকল নির্বাচন সুন্দর হবে। সংবিধানের নিয়ম কারও জন্য অপেক্ষা করে না।আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আসুক বা না আসুক সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সময় আর স্রোতের মতো সংবিধানের নিয়মও কারো জন্য অপেক্ষা করবে না।ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রকারীরা বিএনপিকে সামনে রেখে পেছনে ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ২০০৪ সালেও ষড়যন্ত্রকারীরা তাই ভেবেছিলেন, এখনও সেই দুঃস্বপ্নই দেখছেন।তিনি বলেন, খবর নিয়ে দেখেন, সেই ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রকারীরা আমেরিকায় বসে আরও বড় ষড়যন্ত্র করে আপনাদের ক্ষমতায় বসতে দেবে না। তারা কীভাবে আবার ক্ষমতায় যেতে পারে, সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সামনের কাতারে আপনাদের রেখে পেছনে পেছনে আরও বড় নীলনকশা করছে। সুতরাং ফখরুল ইসলাম সাহেবরা লাফালাফি করে লাভ নাই।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।