দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : দ্বিতীয় দিনেই ঢাকা টেস্টের চালকে আসনে বাংলাদেশ। পাচ্ছে জয়ের সুবাস ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই। আফগানিস্তানকে অল্প রানে গুটিয়ে দিয়েও ফলোঅন করায়নি টাইগাররা। বরং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে। লিড এখন ৩৭০ রানের। সেঞ্চুরি জুটিতে এখন পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকির হাসান। সাড়ে পাঁচ রানরেটে ১১৬ রান যোগ করেছেন তারা। দুজনই তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি, দুজনই সমান ৫৪ রান করে অপরাজিত।
ব্যাট হাতে ভাল ব্যাটিংয়ের পর এবার বল হাতেও দারুণ করেছে স্বাগতিক বোলাররা। ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর রানই কেবল করতে পেরেছে আফগানিস্তান। যদিও দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ছিল আফগানময়। আগের দিনের ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দলীয় স্কোরবোর্ডে মাত্র ২০ রান তুলতেই ৩৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান দলও হোঁচট খেয়ে বসে। টাইগার বোলারদের তোপে প্রথম ইনিংসে তারা সংগ্রহ করতে পেরেছে সবকটি উইকেট হারিয়ে মোটে ১৪৬ রান। সফরকারীদের ফলোঅনে না পাঠিয়ে ফের ব্যাট করতে নেমেছে লিটন দাসের দল। আফগানদের ফলোঅন এড়াতে প্রয়োজন ছিল ১৮২ রান। তবে সেটা করতে পারেনি দলটির ব্যাটাররা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিল সফরকারীরা। আফগানিস্তানের ইনিংসের ২য় ওভারের শেষ বলেই উইকেটের দেখা পেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে লিটনের ভুলে তা হয়নি। শরিফুল লেন্থ বল ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে প্রথম স্লিপের দিকে যাচ্ছিল, সেখানে গ্লাভস হাতে লিটন ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলের নাগাল পাননি, আর প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা শান্তকে চেষ্টা করারও সুযোগ দেননি। ফলে অপেক্ষা বাড়ে বাংলাদেশের। তবে সেটা খুব বেশি দীর্ঘায়িত হতে দেননি শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসারের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলটি অফ স্টাম্পের ওপর ফুল লেন্থে ছিল, সেখানে ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ বলে ৬ রান। ইব্রাহিমের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার আব্দুল মালিক।
পেসার এবাদতের করা ইনিংসের ৭তম ওভারের ৫ম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট লেন্থে ছিল, সঙ্গে খানিকটা বাড়তি বাউন্স ছিল তাতেই পরাস্ত এই ওপেনার। ১৭ রান করা এই ব্যাটার তৃতীয় স্লিপে জাকির হাসানের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন। নতুন বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এবাদত ইনিংসের ১২তম ওভারে আরও একবার আঘাত হানেন আফগান শিবিরে। চতুর্থ বলটি শর্ট লেন্থে করেছিলেন সেখানে বলের লাইন-লেন্থ কিছুই বিচার করতে পারেননি রহমত শাহ। চোখ বুঝে পুল করতে গিয়ে ভুল করেন এই ব্যাটার। বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ওপরে ওঠে গেলে মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নেন তাসকিন। লাঞ্চ থেকে ফিরেও ভাগ্য বদলাতে পারেনি আফগানরা। দলীয় ৫১ রানের মাথায় অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদীকে ফিরিয়ে দেন শরীফুল। এরপর অবশ্য ধ্বংসস্তুুপ থেকে টেনে তোলার আভাস দিচ্ছিলেন নাসির জামাল-আফসার জাজাইয়ের পঞ্চম জুটি। তবে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে মিরাজের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে নাসির জামাল। মিরাজের পরের ওভারেই তাসকিনের বদলে এবাদতকে বল তুলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক লিটন। আর তাতেই সাফল্য। এবাদতের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে শরীফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪০ বলে ৩৬ রান করা আফসার।
এরপর কেবল শেষের অপেক্ষা। দ্রুত ফিরে যান ইয়ামিন আহমেদজাঈ এবং আমির হামযা। ৮ উইকেট হারিয়ে আফগানদের দলীয় রান তখন ১২৮। ফলোঅনের সংখ্যা তখন উঁকি দিচ্ছে জোরেশোরেই। তবে করিম জানাত লড়ে যাচ্ছিলেন। তার সেই আশা জলাঞ্জলি দেন নিজাত মাসুদ। এরপর শেষ রক্ষা হয়নি আফগান ব্যাটার জানাতেরও, ফিরে যান ব্যক্তিগত ২৩ রানে মিরাজের শিকার হয়ে। এই উইকেটের মাধ্যমে মিরাজ পূর্ণ করেন টেস্ট ক্রিকেটে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক। এর আগে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলিংয়ে কিছুটা স্বস্তি আসে। প্রথমদিনের রানের সঙ্গে মাত্র ২০ রান যোগ করতেই আজ শেষ পাঁচ ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। বড় রানের স্বপ্ন ব্যাটাররা ধূলিসাৎ করলেও আশার পালে হাওয়া দিয়েছেন স্বাগতিক বোলাররা। ১১ ওভারের মধ্যেই আফগানিস্তানের তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে ফিরিয়ে স্বস্তি নিয়েই লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। ১০ ওভার ৪ বল খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তুলেছে আফগানিস্তান। ২ রান নিয়ে উইকেটে আছেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। এখনও ৭ উইকেট হাতে নিয়ে প্রথম ইনিংসে ৩৪৭ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। আফগানিস্তানের ইনিংসের ২য় ওভারের শেষ বলেই উইকেটের দেখা পেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে লিটনের ভুলে তা হয়নি। শরিফুল লেন্থ বল ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে প্রথম স্লিপের দিকে যাচ্ছিল।
এরপর সেখানে গ্লাভস হাতে লিটন ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলের নাগাল পাননি, আর প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা শান্তকে চেষ্টা করারও সুযোগ দেননি। ফলে অপেক্ষা বাড়ে বাংলাদেশের। তবে সেটা খুব বেশি দীর্ঘায়িত হতে দেননি শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসারের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলটি অফ স্টাম্পের ওপর ফুল লেন্থে ছিল, সেখানে ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ বলে ৬ রান। ইব্রাহিমের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না আরেক ওপেনার আব্দুল মালিক। এবাদতের করা ইনিংসের ৭তম ওভারের ৫ম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট লেন্থে ছিল, সঙ্গে খানিকটা বাড়তি বাউন্স ছিল তাতেই পরাস্ত এই ওপেনার। ১৭ রান করা এই ব্যাটার তৃতীয় স্লিপে জাকির হাসানের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর শুধু আসা যাওয়ার মিছিলই হয়েছে কেবল।
দেশকণ্ঠ/আসো