দেশকণ্ঠ ডেস্ক : কৃষ্ণসাগরে ভাসমান একটি জাহাজ থেকে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল ওডেসা বন্দর লক্ষ্য করে। ইউক্রেনীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।
প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এবারে ফের নতুন উদ্যমে ইউক্রেনের রাজধানী কিভ হামলার পরিকল্পনা করছে রুশ বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথায় এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সম্প্রতি যুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিক ও মিলিটারি ব্লগারদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। তাঁদের কাছেই এ কথা জানিয়েছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘বাহিনী ইতিমধ্যেই কিভের কাছাকাছি চলে গিয়েছে। আমাদের ওখানে ফেরা কি উচিত নয়? সে উত্তর একমাত্র আমার কাছেই আছে।’’ পুতিনের ব্যাখ্যা, ইউক্রেনের কাছ থেকে আরও জায়গা কেড়ে নিতে পারে রাশিয়া। রাশিয়ার বেলগোরোদ ও কুরস্ক অঞ্চলে কিভের হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, এ ভাবেই রাশিয়ার জমিতে ইউক্রেনের গোলাবর্ষণ আটকানো সম্ভব। ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তবর্তী ওই এলাকাকে ‘পরিশোধিত অঞ্চল’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। পুতিন জানিয়েছেন, কতটা জায়গা রাশিয়া দখল করবে, তা নির্ভর করছে ইউক্রেনের তথাকথিত ‘পাল্টা হামলার’ উপরে।
আজও দিনভর হামলা চলেছে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে। কৃষ্ণসাগরে ভাসমান একটি জাহাজ থেকে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল ওডেসা বন্দর লক্ষ্য করে। ইউক্রেনীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। একটি গিয়ে আঘাত করে খাদ্যসামগ্রী মজুত থাকা একটি গুদামে। তিন জন নিহত হয়েছেন ঘটনায়। সাত জন জখম। অঞ্চলের সেনা কর্তা ওলেগ কিপার জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও দেহ মিলতে পারে। একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬ জন জখম হয়েছেন। বিস্ফোরণের প্রবল শব্দ ও ধাক্কায় কাছের একটি আবাসন ও একটি দোকানের ক্ষতি হয়েছে।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কো জানান, রাশিয়া থেকে বেলারুশে পরমাণু অস্ত্র সরবরাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘যাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র থাকে, তাদের সঙ্গে কেউ লড়তে যায় না।’’