দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছতে যাত্রার ১০ দিন আগের আন্তঃনগর ট্রেনের আসন বিক্রি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত ১৪ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন পর্যায়ক্রমে ২৪ থেকে ২৮ জুনের আসনগুলো বিক্রি করা হয়। এ সময়ের মধ্যে ২৭ জুন ট্রেনের আসনের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল। ওই দিনের আসনের জন্য ১৭ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকিটিং ওয়েবসাইট ও রেল সেবা অ্যাপে মোট তিন কোটি ৫৭ লাখ বার হিট করেছিলেন আসনপ্রত্যাশীরা। এদিকে, ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম আসন না পাওয়া, বিক্রির আগেই আসন উধাও হয়ে যাওয়াসহ নানা ক্ষোভ ছিল টিকিটপ্রত্যাশীদের। তাদের অভিযোগ, সকাল ৮টায় আসন বিক্রি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই অনেক আসন শূন্য দেখা যায় ওয়েবসাইটে। তার মানে, আসনগুলো তারা সুযোগ বুঝে নিজেরাই কেটে নিয়েছে।
এমন অভিযোগের ব্যাখ্যাও দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং পার্টনার সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি। তাদের বক্তব্য, ‘আমরা প্রতি ঘণ্টায় টিকিট বিক্রির আপডেট দিচ্ছি। প্রথম ঘণ্টায় যদি সব টিকিট শেষ হতো, তাহলে পরের ঘণ্টায় লোকজন টিকিট কোথায় পেত?’ জেভির ঈদযাত্রার ওই পাঁচ দিনের আসন বিক্রির প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রথম দিন অর্থাৎ ১৪ জুন ঢাকা থেকে বহির্গামী আন্তঃনগর ট্রেনের মোট আসন বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ৩৮১টি। জোনভিত্তিক হিসাবে পূর্বাঞ্চলের জন্য আসন বরাদ্দ ছিল ১৪ হাজার ৬৬৪টি এবং পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ১২ হাজার ৭১৭টি। সেদিন সারা বাংলাদেশের অন্যান্য স্টেশনের জন্য মোট আসন বরাদ্দ ছিল এক লাখ ৩৬ হাজার ২২৮টি।
পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের আসন বিক্রি শুরু হয় ওইদিন সকাল ৮টায়। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে বিভিন্ন ট্রেনের আসন বিক্রি হয় ১০ হাজার ৯৬০টি, সারাদেশে বিক্রি হয় ১২ হাজার ৮৭৩টি। দুপুর ১২টায় বিক্রি শুরু হয় পূর্বাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের আসন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে আসন বিক্রি হয় নয় হাজার ৩৩২টি এবং সারাদেশে বিক্রি হয় ১২ হাজার ৮৯৬টি আসন। দিনশেষে দেখা যায়, রাত ৯টা-পরবর্তী সময় পর্যন্ত ঢাকা থেকে মোট আসন বিক্রি হয় ২২ হাজার ৮৯০টি এবং সারাদেশে বিক্রি হয় ৩৫ হাজার ২০৭টি। সেই হিসাবে ওই দিন সংরক্ষিত এক হাজার ৩৯৯টি বাদে ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের আসন অবশিষ্ট ছিল তিন হাজার ৯২টি এবং সংরক্ষিত দুই হাজার ৯৬৩টি বাদে সারাদেশে আসন অবশিষ্ট ছিল ৯৮ হাজার ৫৮টি। আসনগুলো পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে বিক্রি হয়।
দেশকন্ঠ/অআ