• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৪:০৫    ঢাকা সময়: ০০:০৫

২০ দিন পর প্রাণ ফিরেছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ‌টানা ২০ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে উৎপাদনে ফিরেছে পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। রোববার (২৫ জুন) ভোর থেকে একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় শুরু হয়েছে। ডলার সংকটে কয়লা আমদানি না হওয়ায় গত ২৫ মে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৫ জুন বন্ধ হয় দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন। নতুন করে কয়লা আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকার যৌথভাবে ১০০ মিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হলে ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজে কয়লা উঠতে শুরু করে। এরপর গত ২৩ জুন মধ্যরাতে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নোঙ্গর করে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আথেনা। জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করে রোববার ভোর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী এমভি অ্যাথেনা নামের একটি মাদার ভ্যাসেল প্রায় ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বন্দরের ইনার অ্যাংকরেজে এসে পৌঁছায়। জাহাজটি শুক্রবার বিকেলে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে নিয়ে আসা হয়। পরে সন্ধ্যার আগে থেকেই জাহাজ থেকে কয়লা আনলোড শুরু হয়। শনিবার সকাল নাগাদ প্রায় বিশ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করা হয়েছে। কয়লা আনলোডের মধ্য দিয়েই কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তত্ত্বাবাধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়লা সংকটের কারণে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত দুই দিন আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি কয়লাবাহী জাহাজ এলে খালাস শুরু হয়। আজ ভোর থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। পর্যায়ক্রমে এরপরে কয়লাবাহী জাহাজ আরও আসতে থাকলে দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
 
উল্লেখ্য যে, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন অন্তত ১৩ হাজার টন কয়লা পোড়াতে হয়। এতোদিন যা ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করেছে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে বাকিতে কয়লা এনে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সচল রাখা হয়েছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির দেনা প্রায় ৩৬ কোটি ডলার। বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সিএমসি। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান ৫০ শতাংশ করে অংশীদারত্ব রয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।