দেশকন্ঠ ডেস্ক : অবশেষে সামনে এসেছে বহুল আলোচিত বলিউড সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’। ভারতের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর লুকে আগেই চমকে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। এবার ইন্দিরা-রূপী কঙ্গনার কন্ঠতেও পাওয়া গেয়েছে চমক। যদিও সিনেমাটি ইন্দিরা গান্ধীর বায়োপিক নয়, সত্তরের দশকে দেশে জারি ‘জরুরি অবস্থা’র প্রেক্ষাপটে নির্মান করা হয়েছে এটি। তা স্পষ্ট করেছেন অভিনেত্রী ও পরিচালক কঙ্গনা।
টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (২৪ জুন) ইনস্টাগ্রামে ‘ইমার্জেন্সি’র প্রথম ঝলক শেয়ার করেছেন সিনেমার পরিচালক ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেছেন সিনেমা মুক্তির তারিখও।টিজারটি শেয়ার করে কঙ্গনা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আসুন সাক্ষী থাকি আমাদের দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকারময় অধ্যায়ের যখন দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন, তারই দেশের জনতার বিরুদ্ধে।’
১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের টিজারের শুরুতেই স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ২৫ জুন, ১৯৭৫। পুলিশের ওপর ইট বৃষ্টি করছে উত্তেজিত জনতা। রাস্তায় আগুন জ্বলছে। এরপরই সংবাদপত্রের শিরোনামে লেখা, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরই শোনা যায় অনুপম খেরের কণ্ঠ। জেলবন্দি একজন ‘বিরোধী দলনেতা’ তিনি। সিনেমায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জয়প্রকাশ নারায়ণের চরিত্রে দেখা যাবে অনুপম খেরকে। যিনি জেপি নারায়ণ নামেই সমাধিক পরিচিত। অভিনেতাকে বলতে শোনা গেল, ‘ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকারতম অধ্যায় এটি, এটা সরকার রাজ নয়, অহঙ্কার রাজ। এটা আমাদের নয়, এই দেশের মৃত্যু’।
ইন্দিরার ‘একনায়কতন্ত্র’-এর বিরুদ্ধে এখানে আওয়াজ তুলতে দেখা গেল জেপি নারায়ণকে। তারপরই দেখা মিলল কঙ্গনার। বলতে শোনা গেল, ‘এই দেশের রক্ষা আমাকেই করতে হবে, কেউ রুখতে পারবে না। কারণ, ইন্ডিয়া মানেই ইন্দিরা, আর ইন্দিরা মানেই ইন্ডিয়া। মূলত ১৯৭৫ সালের জুন মাস থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত, একটানা ২১ মাস ভারতে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। সেই সময়কালই ধরা পড়েছে এই সিনেমায়। তবে এটি যে ইন্দিরা গান্ধীর বায়োপিক নয়, তা আগেই স্পষ্ট করেছেন অভিনেত্রী-পরিচালক কঙ্গনা। আসন্ন সিনেমাটিতে কঙ্গনা ও অনুপম খের ছাড়াও আরও দেখা মিলবে মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়স তালপেড়ে এবং প্রয়াত অভিনেতা সতীশ কৌশককে।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।