দেশকণ্ঠ অনলাইন : রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে জরুরি চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে দগ্ধদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শুক্রবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর বাসার নিচ তলায় এই ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা হলেন- মেহেরুন্নেছা (৮০), তার ছেলে মো. লিটন (৫২), পুত্রবধূ সূর্য বানু (৩৫), নাতি সুজন (৮), নাতনি লামিয়া (৭) ও লিজা (১৮)।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বাসস’কে জানান, লিটনের শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া তার স্ত্রী সূর্য বানুর ৮২ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ, লামিয়ার ৫৫ শতাংশ, সুজনের ৪৩ শতাংশ ও মেহরুন্নেছার ৪৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে তাদের জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের এই চিকিৎসক।
দগ্ধদের প্রতিবেশি ময়না বেগম জানান, লিটনদের বাড়ি ময়মনসিংহে। পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের ২ তলা বাড়িটির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন। এখানে ফার্নিচারের ব্যবসা করেন। রাতে বাসায় সবাই ঘুমিয়েছিলেন। ভোরে লিটন মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পরিবারের ছয়জনই দগ্ধ হয়। তিনি জানান, বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্না করতেন তারা। সবাই ধারণা করছেন, সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বাসায় গ্যাস জমেছিল। মশার কয়েলের জন্য দিয়াশলাই জ্বালাতেই সেই গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ওই বাসার কেয়ারটেকার রিফাত হোসেন বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে ছিল। কিন্তু পাইপের মাধ্যমে ঘরের মধ্যে চুলার সংযোগ ছিল। ওই চুলার সংযোগে লিকেজ থাকায় ঘরে গ্যাস জমে থাকে। মশার কয়েল জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। পরে দ্রুত ভোর পাঁচটার দিকে দগ্ধদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দেশকণ্ঠ