• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৪:৫০    ঢাকা সময়: ১৪:৫০

স্বপ্ন এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘিরে

দেশকণ্ঠ অনলাইন : সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কুড়ি ওভারের বিশ্বসেরা আসরে খেলবে বাংলাদেশও। তবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যে স্বপ্ন দেখতে মানাই করে দিলেন। সবার প্রতি একটা অনুরোধ রেখে টাইগার কাপ্তান বাস্তবতা মানতে বলেন। বিশ্বকাপ কাছে এলে বাংলাদেশ দলের আশা-প্রত্যাশা নিয়ে শুরু হয় জোর আলোচনা। গত বছর সেমিফাইনালের আশা নিয়ে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল তাঁরা। দেড় মাস পর এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী ১৬ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ধরবে লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। প্রত্যাশার জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক শান্ত অবশ্য জানিয়েছেন, এবার নিজেদের লক্ষ্যটা প্রকাশ করতে চান না। সবার কাছে তাঁর আবেদন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য নিয়ে যেন বেশি মাতামাতি না করা হয়। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞাপনী অনুষ্ঠান শেষে শান্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লক্ষ্য নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘এবার আশা কতটা আর কোন পর্যন্ত সেটা এখনই বলতে চাচ্ছিনা। প্রতিবছরই আমি দেখি বিশ্বকাপের আগে এগুলো নিয়ে অনেক কথা হয়। প্রত্যাশা, এটা করব, সেটা করব, অনেক কথাবার্তা হয়। আমার একটা রিকোয়েস্ট থাকবে আপনাদের কাছে, বেশি প্রত্যাশা করার দরকার নেই’।
 
শান্ত আরও বলেন, ’সবার মনের মধ্যেই থাক সেটি। আপনিও জানেন বাংলাদেশ দল কী চায়, আমরা খেলোয়াড়েরাও জানি দলটাকে আমরা কত দূর নিয়ে যেতে চাই। সবাই চাই আমরা অনেক বড় কিছু করি। কিন্তু এটা নিয়ে যখন বেশি মাতামাতি হয়, আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে না। কারণ ফল যখন হবে, তখন এমনিতেই দেখা যাবে।’ শান্তর মতে, খেলোয়াড়েরা প্রত্যেক ম্যাচেই জেতার জন্য খেলেন, জেতার মানসিকতা নিয়েই খেলেন। জয়ের জন্য নিজেদের ১২০ ভাগ দিতে চান তাঁরা। এবারও লক্ষ্যটা বড়। তবে সেটি প্রকাশ করতে চান না এবং মাতামাতি করতে নারাজ তিনি। বাংলাদেশের অধিনায়ক বললেন, ‘আমি একটা সিরিজ বলতে পারি, যে দলটা খেলবে তারা ১২০ ভাগ দেবে প্রত্যেকটা ম্যাচে জেতার জন্য। এই নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি যে প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলবে। সুতরাং অনেক বেশি আশা নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিবছর, প্রত্যেকটা ম্যাচ যখন আমরা খেলি, অনেক আশা নিয়েই খেলি এবং আমরা যেটা পারি সেটা করারই চেষ্টা করি। প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলব। কিন্তু আগে থেকেই অনেক আশা করছি, এবার একটু বেশি আশা করছি। একটা রিকোয়েস্ট থাকবে, আমরা যেন মাতামাতি না করি। বাস্তবতা যেন বুঝি।’
 
এদিকে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ খেলা হচ্ছে না জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের! বিশ্বকাপ নিয়ে ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রামে শুরু হবে জাতীয় দলের ক্যাম্প। ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। এই সিরিজ দিয়েই শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। তার আগে দেশের মাটিতে জাতীয় দলের শেষ প্রস্তুতি। দেখা মিলবে বিশ্বকাপের ছায়া স্কোয়াডের। তবে প্রশ্ন হচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা কি ক্যাম্পের শুরু থেকেই অংশ নিতে পারবে? কারণ ২২ বা ২৩শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ৬ দল নিয়ে সুপার লিগ। ঢাকা লিগের প্রথম রাউন্ড শেষ হতেই মূলত শিরোপার লড়াই শুরু হবে সুপার লিগ পর্বে। তাই ক্লাবগুলো জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ছাড়বে কিনা তা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন! তবে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন সুপার লিগ নিয়ে তাদের ভাবার সময় নেই। ক্যাম্প শুরু হলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সেখানে অংশ নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘২৬শে এপ্রিল থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে ক্যাম্প। আমরা আসলে সুপার লিগ নিয়ে ভাবছি না। এ নিয়ে কোনও কথা হয়নি। যেটা পরিষ্কার করে বলতে চাই ক্যাম্পে সব ক্রিকেটার অংশ নিবে’।
 
লিগে খেলবে কিনা সেটি ক্লাবগুলোর সঙ্গে তারা বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে। অন্যদিকে জানা গেছে বড় ক্লাবগুলোর চাপে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের শেষ পর্যন্ত খেলতে হতে পারে সুপার লিগে। এই বিষয়ে অবশ্য জালাল ইউনুস সরাসরি কোনও উত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘যদি ক্লাবগুলো প্রয়োজন মনে করে সেটি পরের বিষয়। আমরা এখনো এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেইনি। ক্রিকেটাররা ক্যাম্পে অংশ নিবে সেটি জানি।’ ঈদের ছুটি শেষে এরইমধ্যে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা। আগামী মাসের শুরুতেই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বেশির ভাগ ক্রিকেটারই ছুটি কাটিয়ে মাঠে নেমেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (ডিপিএল)। আগামী ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে দল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি হবে চট্টগ্রামে। ৩ মে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। নানা জল্পনা থাকলেও ২২ এপ্রিল দেশে ফিরছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
পথরেখা/আসো
 
কালীগঞ্জে ইউএনও এসএম ইমাম রাজী টুলুর দায়িত্ব গ্রহন
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেছেন এসএম ইমাম রাজী টুলু। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজিজুর রহমানের  স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন এসএম ইমাম রাজী টুলু।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের মাঠ প্রশাসন শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাগুফতা হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কালীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আজিজুর রহমানকে (১৭৭৯৫) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এবং মুকসুদপুরের ইউএনও এসএম ইমাম রাজী টুলুকে (১৭৮৫৮) কালীগঞ্জে পদায়ন করা হয়েছে।
বিসিএস ৩৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা এসএম ইমাম রাজী টুলু সর্বশেষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে মুকসুদপুর উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর মুকসুদপুর যোগদান করেছিলেন।
এর আগে ২০২১ সালের ২৯ জুন তিনি সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদায় পদোন্নতি পান। পরবর্তীতে ৪ জুলাই ফরিদপুরের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। এ ছাড়া তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।