দেশকণ্ঠ অনলাইন : তীব্র তাপদাহে পুড়ছে বাংলাদেশ। ঢাকা সহ বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করেছে। এই তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ২৭ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তীব্র গরমের কারণে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ। এই সময়ে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বার না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন।
তীব্র গরমে বির্পযস্ত বাংলাদেশের জনজীবন। খুলনা বিভাগের ১০টি জেলাসহ দেশের ১৩টি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা কমার ব্যাপারে কোনো আভাস দিতে পারেনি আবহাওয়া অধিদফতর। বরং তা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে। সেই সঙ্গেই বাংলাদেশে জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট।
শনিবার যশোরে তাপমাত্রা তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন চলতি বছরে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরই মধ্যে হিট স্ট্রোকে বাংলাদেশে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
পাবনা আর চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু হয়। সেখানের একটি চায়ের দোকানে এসেছিলেন তিনি। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে আশপাশের লোকজন নিয়ে যান পাবনা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত সুকুমার দাস (৬০) পাবনারর শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।
অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে মারা গিয়েছে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি দামুড়হুদার ঠাকুরপুর গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে , তীব্র গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। সব থেকে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। জীবন-জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে কাজ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষের। বাইরে বের হওয়ার সময় অনেকেই ছাতা নিয়ে বের হচ্ছেন।
এই অবস্থায় মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের খুব জরুরী দরকার ছাড়া ঘরের বাইরে না আসার পরামর্শ দেন তিনি। শনিবার, সাভারে তিনি বলেন, 'এই তীব্র গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সেই সঙ্গেই বাড়ছে হিট স্ট্রোক এবং অন্যান্য সমস্যা। সেই কারণে আমরা হাসপাতালগুলিকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার কথাও বলছি। এই তীব্র দাবদাহের কারণে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।'
এই গরমের মধ্যে স্কুল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছিলেন অভিভাবকরা। শনিবারই বাংলাদেশের শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ২৭ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত বছরেও তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা বন্ধ রাখা হয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী রবিবার পর্যন্ত সেখানে তীব্র তাপপ্রবাহ থাকবে। সেই কারণে এখন হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
দেশকণ্ঠ//